প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২০২১-৪১ প্রেক্ষিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশেকে ধাপে ধাপে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিতে হবে। দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা এবং বিভিন্ন পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় দেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
মঙ্গলবার (২৯ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের সভায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সভায় সভাপতিত্ব করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশকে উন্নত করতে আরও বেশ কয়েকটি পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ ২০২১ সাল থেকেই শুরু হবে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার যে সমস্ত বিষয় বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য, সেগুলো বাস্তবায়নে সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের নেয়া দীর্ঘমেয়াদী উন্নয়ন পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু সরকারের অনুসরণে ৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে দেশকে দ্রুত এগিয়ে নেয়ার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার আবারও পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা প্রণয়ন করে। তবে ৭৫ পরবর্তী সময়ে দেশে গণতন্ত্র ছিল না, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু হয়েছিল এবং মিলিটারি ডিক্টেটররা একের পর একক্ষমতায় এসেছিল, সে কারণে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি।
তিনি বলেন, ১৯৯৭-২০০২ মেয়াদী এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কাজ শুরু করার ফলে দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যায় এবং দেশের মানুষ এর সুফল পেতে শুরু করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে জনতার গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে পারায় দেশের উন্নয়নের গতিধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়।
২০০৯ সালে পুনরায় ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং তা বাস্তবায়ন করে। একই সঙ্গে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা এবং ২০১০-২০২০ সময় কালে দীর্ঘমেয়াদী প্রেক্ষিত পরিকল্পনা গ্রহণ করে এবং পর্যায়ক্রমে সেগুলো বাস্তবায়ন করে।
করোনা মহামারির কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঝুঁকি নিয়েও সংশ্লিষ্ট সকলেই আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, যার ফলে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা সম্ভব হয়েছে।
করোনায় যখন সারাবিশ্ব স্থবির হয়ে আছে, সে সময় অষ্টম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে পারায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।