ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বল হাতে দুর্দান্ত খেলছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম দুই ম্যাচে নিয়েছেন সাত উইকেট। সঙ্গে নিয়ন্ত্রণে রেখেছেন রানের গতিও। এমন দারুণ বোলিংয়ের পুরস্কার পেলেন বাংলাদেশি এই অলরাউন্ডার।
ভারতীয় বোলার জসপ্রীত বুমরাহ, কাগিসো রাবাদাদের পেছনে ফেলে আইসিসির ওয়ানডের বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এলেন মিরাজ। এটি তাঁর ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং। ক্যারিয়ারে সর্বোচ্চ ৭২৫ রেটিং পয়েন্ট পেয়েছেন এই স্পিনার।
বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে আইসিসির ওয়ানডে বোলারদের র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষ দুইয়ে জায়গা পেয়েছেন মিরাজ। এর আগে ২০০৯ সালে শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন সাকিব আল হাসান। ২০১০ সালে দুই নম্বরে ওঠেন বাংলাদেশের আরেক সাবেক স্পিনার আব্দুর রাজ্জাক। এবার সাকিব-রাজ্জাকের পাশে বসলেন মিরাজ।
আজ বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে র্যাঙ্কিং হালনাগাদ করেছে আইসিসি। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩০ রান খরচায় চারটি উইকেট নিয়েছেন মিরাজ। গতকাল দ্বিতীয় ম্যাচে নিয়েছেন ২৮ রানে ৩ উইকেট। মোট সাত উইকেট নিয়ে নতুন তালিকায় তিন ধাপ এগিয়েছেন মিরাজ।
মিরাজের পাশাপাশি র্যাঙ্কিংয়ে অনেক উন্নতি হয়েছে মুস্তাফিজুর রহমানের। লঙ্কানদের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে ৩৪ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। দ্বিতীয় ম্যাচে মাত্র ১৬ রান দিয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। মোট ছয় উইকেট নিয়ে আট ধাপ এগিয়েছেন মুস্তাফিজ। ঢুকেছেন শীর্ষ দশে। বর্তমানে ৬৫২ রেটিং নিয়ে ৯ নম্বরে আছেন বাঁহাতি এই পেসার।
সবচেয়ে বেশি ৭৩৭ রেটিং নিয়ে তালিকায় এক নম্বরে আছেন নিউজিল্যান্ডের পেসার ট্রেন্ট বোল্ট। দ্বিতীয়তে মিরাজ। তিনে আছেন আফগানিস্তানের মুজিব উর রহমান। চারে আছেন কিউই বোলার ম্যাট হেনরি। পাঁচে আছেন ভারতীয় তারকা জশপ্রীত বুমরাহ। ছয় নম্বরে আছেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা।
ব্যাটিংয়ে উন্নতি হয়েছে মুশফিকুর রহিমের। ওয়ানডে ব্যাটসম্যানদের র্যাঙ্কিংয়ে চার ধাপ এগিয়েছেন তিনি। লঙ্কানদের বিপক্ষে ভালো করে ১৪তম স্থানে উঠে এসেছেন মুশফিক। তাঁর রেটিং ৭৩৯। ৮৬৫ রেটিং নিয়ে ব্যাটসম্যানদের তালিকায় এক নম্বরে আছেন বাবর আজম।