আদালত ঢোল পিটিয়ে জমি বুঝিয়ে দিলেও চলছে সন্ত্রাসী হামলা ও লুটপাট


মো.পাভেল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার: জমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে রাজশাহী মহানগরীর হেতেমখাঁ এলাকায় চলছে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে মারামারি ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় শনিবার (২৬ নভেম্বর) ভুক্তভোগী পরিবারের নিরাপত্তা ও উদ্ভট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ হুমায়ুন কবির চৌধুরির বক্তব্যে জানা গেছে, গত ২২ নভেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল আনুমানিক ১০.০০ টার দিকে বোয়ালিয়া থানার অন্তর্গত নগরীর ১০ নং ওয়ার্ড হেতেমখাঁয় (ছোট মসজিদের পশ্চিমে) অবস্থিত সাত তলা ভবন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জবরদখল নিতে মরিয়া হয়ে বাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। জমিজমা সংক্রান্ত মামলায় সর্বোচ্চ আদালতের ডিগ্রি পেলে চলতি বছরের আগষ্ট মাসের ৩ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে রাজশাহী জেলা যুগ্মজজ আদালত ঢোল পিটিয়ে এলাকাবাসির উপস্থিতিতে জমি সহ ভবন বুঝিয়ে দেন মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে মোঃ হুমায়ুন কবির ওরফে মিজান সহ ওয়ারিসগনকে।

এরপর থেকে মিজান ও তার ভাগিদার ভোগদখলে থেকে ভবনের নির্মান কাজ শুরু করেন। কিন্তু চোরে না শুনে ধর্মের কাহিনি সৈয়দ আহমেদ জাকি ওরফে স্বজল(৪৬) নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হুমায়ুন কবির ওরফে মিজান পক্ষকে উচ্ছেদ করতে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়িতে অতির্কিত হামলা চালিয়ে মিজানকে স্বজলের ভাই মামুন, রাজনসহ এলাকার নজরুলের ছেলে রাজ্জাক আহমেদ রাজন, সনি, জাহিদ লোহার রড, হাতুড়ি ও লাঠি-সোঠা দিয়ে বেধড়ক মারধর করে।

ঘটনাস্থলে মিজান জ্ঞান হারালে তাকে বাঁচাতে ছুটে আসে তার ভাতিজা রায়হান জ্যাকি (৩৪)। তাকেও বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে স্বজলের সমর্থকরা। তাদের বাঁচাতে আরও কয়েকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে তাদেরকেও মারধর করে স্বজলের লোকজন। এঘটনায় মিজান পক্ষের ৫ জনকে আহত করে প্রায় ৩০ লাখ টাকার মালামাল লুট করা হয়েছে।

প্রায় ৬০ বছর পুর্বে হেতেমখাঁ এলাকার এ কে শহিদুল্লাহ’র থেকে জমি ক্রয় করেছেন মিজানের পিতা আফাজ উদ্দিন। যার সিএস খতিয়ান নং ২৪০ এবং দাগ নং ৪৭৯,৪৮০,৪৮১,৪৮২। আরএস খতিয়ান নং ১৪১৫ এবং দাগ নং ২৩৭১,২৩৭২,২৩৭৩,২৩৭৪। বর্তমানে ওই জমি নিয়ে বিভিন্ন আদালতে ৪ টা সিভিল মামলা ও ৫টা ফৌজদারি মামলা চলমান রয়েছে।

তবুও বাংলাদেশ পলিটেকনিক (বিপিআই) নামে প্রতিপক্ষরা একের পর এক ভুয়া কাগজপত্র তৈরী করে আদালতের মুল্যবান সময় নষ্টসহ নানা নাটকীয়তার জন্ম দিচ্ছেন।
বর্তমানে স্বজল ও তার ভাড়াটে সন্ত্রসী ও চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং প্রতিপক্ষের বিভিন্ন ষড়যন্ত্র ও উদ্ভট পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ করে সামাজিক মর্যাদা রক্ষায় আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীসহ মাননীয় মেয়র মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এসময় সংবাদ সম্মেলন উপস্থিত ছিলেন মোঃ পারভেজ চৌধুরী পরশ, মোঃ জাহিদুল কবির চৌধুরী, আইনজীবী এ্যাড. আনোয়ারুল ইসলামসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।