নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর নিয়ামতপুরে বিয়ের প্রলোভনে আদিবাসী এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগে থানায় নির্যাতিতার মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে রসুলপুর ইউনিয়য়নের নিমদিঘির (নান্দাগড়া) গ্রামে।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, নির্জাতিতা নিয়ামতপুরের রসুলপুর ইউনিয়নের নিমদিঘী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণীতে লেখাপড়া করে আসছিলো। দারিদ্রতার সুযোগ নিয়ে বাড়িরে আশেপাশে প্রায় ঘোরাঘুরি করতো এবং এভাবে নিমদিঘী গ্রামের ইমারতের ছেলে কাওছার (২৮) এর সাথে পরিচয় ঘটে ওই ছাত্রীর । পরিচয় সূত্রে প্রেম, পরে বিয়ের প্রলোভনে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে উঠে।
১মার্চ বিকালে নির্জাতিতার মা বাসায় না থাকলে শারীরীক সম্পর্ক ঘটে, ওই সময় স্কুল ছাত্রী বিয়ে করার চাপ সৃষ্টি করলে কাওছার পালিয়ে যায়। পরে স্কুল ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ১৫মার্চ নিমদিঘী গ্রামের ইমারতের ছেলে কাওছার (২৮), নিমদিঘী গ্রামের মুছুর আলীর ছেলে সায়েম ইকবাল (৩৮), বাদে চাকলা গ্রামের আলাউদ্দীনের ছেলে আলমামুন সাদ্দম (৩২) কে আসামী করে থানায় মামলা করে।
নির্জাতিতার মা কল্পনা পাহান সাংবাদিককে বলেন, আমরা দরিদ্র আর শ্রম বিক্রি করে ওই উপার্জনে আমাদের পরিবার পরিচালনা করি। সেদিনও শ্রম বিক্রির জন্য বাইরে গেলে আসামী কাওছার সেই সুযোগ নেয়। আমি কাজ থেকে ফিরে বাসায় আসলে বাড়ির সামনে সায়েম ইকবাল ও আলমামুন সাদ্দম বাড়ির বাইরে পাহারা দেয়, হঠাৎ আমাকে দেখে অপ্রস্তুত হয় তারা। আমি দ্রুত বাসায় প্রবেশ করে দেখি আমার শয়ন কক্ষে কাওছার আমার মেয়ের সাথে জোর পূর্বক আপত্তিকর কাজ করছে।
আমাকে দেখে কাওছার ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। তিনি আরও বলেন, মামলা করার এতোদিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারনে পুলিশ আসামী ধরছেনা। পুলিশের সাথে যোগাযোগ করলে আমাদের বলে, আপনারা খোজ খবর রাখেন, আসামীকে দেখতে পেলে আমাদের জানাবেন আমরা ধরতে আসবো।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মিলন কুমার সিংহ সাংবাদিককে বলেন, মামলা হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত আসামী ধরার জন্য সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছি।
অফিসার ইনচার্জ হুমায়ন কবীর বলেন, ঘটনার বেশ কিছুদিন পর মামলা হওয়ায় আসামী পালানোর শুযোগ পেয়েছে। আসামী ধরার জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।