আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষ্যে রাজশাহীতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার : জাতিসংঘের বিজ্ঞান, শিক্ষা ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কোর উদ্যোগে এর সদস্য দেশগুলোতে প্রতিবছর দিবসটি উদ্যাপিত হয়। দিবসটিতে এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘সাক্ষরতা শেখার স্থান পরিবর্তন’।
সারা বিশে^র মতো বাংলাদেশেও এ উপলক্ষ্যে নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এ উপলক্ষ্যে আজ বেলা এগারো’টায় রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘সাক্ষরতা শিখন ক্ষেত্রের প্রসার’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কল্যাণ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা করেন।

বক্তারা জানান, সরকার কারিগরি, ভোকেশনাল শিক্ষাসহ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে নানা ধরনের কর্মমুখী ও যুগোপযোগী শিক্ষা প্রসারের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ শিক্ষার সঙ্গে কারিগরি ও ভোকেশনাল শিক্ষা সম্পৃক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে, যাতে দেশের বাইরে আমাদের সার্টিফিকেটের মূল্যায়ন করা হয়।

‘শিক্ষা আলো, অশিক্ষা অন্ধকার’- তাই একটি আলোকিত জাতি গঠন করতে সাক্ষরতার হার বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে তাঁরা বলেন, শিক্ষাই পারে একটি জাতিকে প্রকৃত সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যেতে। কেননা, শিক্ষাই জাতির মেরুদ-। জাতীয় সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে প্রকৃত শিক্ষার বিকল্প নেই।

বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক সময়ে শিক্ষাক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নতি করেছে। ১৯৭১ সালে দেশে মাত্র ১৬ শতাংশ মানুষ সাক্ষরজ্ঞানসম্পন্ন ছিল, বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৫.৬০ শতাংশ।

এছাড়া, সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নিরক্ষরমুক্ত দেশ গড়তে তৎপর রয়েছে। এজন্য সরকার আনুষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি উপানুষ্ঠানিক শিক্ষার উপরও বিশেষ জোর দিয়েছে। শিগ্গিরই বাংলাদেশ নিরক্ষরতার অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে বলে এসময় বক্তারা আশা প্রকাশ করেন।