
শুক্রবার(১১ আগস্ট) সকালে উপজেলার এনায়েতপুর পশুর হাট ঘুরে দেখা যায় হাসিলের নামে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা ।
সরকারি নির্ধারিত প্রতিটি গরু ৪০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ৬০ টাকা হাসিল নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে নেওয়া হচ্ছে প্রতিটি গরু ৭০০ টাকা এবং প্রতিটি ছাগল ও ভেড়া ৫০০ টাকা।
এনায়েতপুর হাটে ছাগল কিনে বাড়ি ফিরছিলেন
শাহজাদপুর উপজেলার বেলতৈল ইউনিয়নের আগনূকালী গ্রামের আশরাফুল। তার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তিনি অভিযোগ করে বলেন, হাসিল দিয়েছি ৫০০ টাকা, হাসিল লেখা নাই। অন্যান্য হাটের চেয়ে এখানে হাসিল বেশি।
একই অভিযোগ বেলকুচি উপজেলার আজুগড়া গ্রাম থেকে গরু কিনতে আসা শহিদুল কে প্রতিবেদক জিজ্ঞাসা করে গরু হাসিল কত দিয়েছেন ? উত্তরে তিনি বলেন, ৭০০ টাকা নিয়েছে। টাকা বেশি নিয়েছে, হিসাবে ৬০০ টাকা হয়।
এ বিষয়ে ইজারাদার( আলহাজ্ব আহম্মদ মোস্তফা খাঁন বাচ্চুর ) সঙ্গে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করে বলেন, অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয় না আমি একেবারে অস্বীকার করবো না হাটে বিভিন্ন খরচের কারনে কিছু অতিরিক্ত টাকা নেয়া হয়। তিনি বিভিন্ন খরচের উদাহারন দিয়ে প্রতিবেদক কে বলেন কোরবানি ঈদে আমরা বেশি নিয়েছি। প্রতিবেদক সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হাসিলের বাহিরে নেয়ার নিয়ম আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি উচ্চস্বরে বলেন, নিয়েছি নিয়েছি!
এ বিষয়ে চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুব হাসান এর সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি ইনফরমেশন পেয়েছি, আমি ব্যবস্থা নিচ্ছি অলরেডি খোঁজ নেয়ার জন্য লোক পাঠানো হয়েছে। যদি বেশি নেওয়া হয় অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খুব শীঘ্রই আপনারা আপডেট জানতে পারবেন।