এরা ধর্ম ব্যবসায়ীও নয়, এরা পাকিস্তানি: সমীর চন্দ


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্থাপত্য নিয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা ‘আসলে ধর্ম ব্যবসায়ীও নয়, এরা পাকিস্তানি’ বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি সমীর চন্দ।

তিনি হুঁশিয়ার দিয়ে বলেছেন, ‘কোনও পাকিস্তানি প্রেত্মাতা গোষ্ঠী ষড়যন্ত্র করলে সারা দেশে কৃষক লীগের নেতৃত্বে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।’

মঙ্গলবার (২৪ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ধান-চাল ক্রয় কমিটিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি সম্পৃক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে র‍্যালিপূর্বক সমাবেশ তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। র‍্যালিটি শহিদ মিনার থেকে
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি  জাদুঘরে গিয়ে শেষ হয়।

সমীর চন্দ বলেন, ‘আজকে কৃষক সমাবেশ থেকে বলতে চাই, যারা বাংলাদেশের পাকিস্তানি,  যারা বঙ্গবন্ধুর স্থাপত্য নিয়ে কথা বলেন, যারা দেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলেন, তাদের বাংলার মাটিতে স্থান নেই। তাদের বিরুদ্ধে স্লোগান হবে, “পাকিস্তানের রাজাকার পাকিস্তানে চলে যাও”।’

তিনি বলেন, ‘একটি গোষ্ঠী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। দেশের স্বাধীনতা নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। বাংলাদেশর মুক্তিযুদ্ধে অন্যতম নেতৃত্বকারী দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। সেই ৭১ এর পরাজিত শত্রুদের প্রেতাত্মা ও তাদের কু-সন্তারনরা এখনও বাংলার বুকে বেঁচে আছে।’
একটি গোষ্ঠীর প্রতি ইঙ্গিত করে কৃষিবিদ সমীর বলেন, ‘বাংলাদেশের বিজয় দিবস আসলে তাদের মাথা গরম হয়ে যায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস আসলে তারা উন্মাদ হয়ে যায়। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার রুপকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম শুনলে তাদের ৭১ এ পরাজয়ের গ্লানি মনে পড়ে। সারা বাংলার মানুষের অনুভূতি,  মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অনূভুতি বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আবার নতুন করে ষড়যন্ত্রে নেমেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। মানুষের হৃদয় থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুছে ফেলতে ৭৫ এর পর থেকে বারবার ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা আজকে ধর্মের নামে জাতির পিতার স্থাপত্য নিয়ে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। তারা আসলে ধর্ম ব্যবসায়ীও না, তারা পাকিস্তানি।’

আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি বলেন, ‘৭২ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিকে এগিয়ে নিতে কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষকরত্ন শেখ হাসিনা ৯৬ সালে প্রথম ক্ষমতায় এসে ৯৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে কৃষকদের কল্যাণে কাজ করেছেন।’

ধান-চাল ক্রয় কমিটিতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কৃষক সংগঠনের প্রতিনিধি সম্পৃক্ত করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন তিনি। এসময় সংগঠনের নেতারা খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারকেও আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন। র‍্যালি শেষে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান কৃষক লীগের নেতারা।

র‍্যালিপূর্বক সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষক লীগের সহ-সভাপতি শরীফ আশরাফ আলী, মোহাম্মদ মাহবুব উল আলম, শেখ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আশা লতা বৈদ্য, এস এম আকবর আলী চৌধুরী, হোসনে আরা, আব্দুল ওয়াদুদ, আব্দুল লতিফ তারিন, আলহাজ্ব মোস্তফা কামাল চৌধুরী, কৃষিবিদ ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, বি এম জয়নাল আবেদীন, এম এ মালেক, মো. আবুল হোসেন, কৃষিবিদ সাখাওয়াত হোসেন সুইট, এডভোকেট মো. রেজাউল করিম ও মো. মকসুদুর ইসলাম, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ বিশ্বনাথ সরকার বিটু, এ্যাড. শামীমা শাহরিয়া, একেএম আজম খান।

সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, কৃষিবিদ ডক্টর হাবিবুর রহমান মোল্লা, সৈয়দ সাগির উজ্জামান, শাকিলুর রহমান রানা, নূরে আলম সিদ্দিকী হক ও অধ্যাপক মো. নাজমুল হক পানু, অর্থবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ নাসির মিয়া, আন্তর্জাতিক সম্পাদক মো. জিয়াউল হক নাসির, আইনবিষয়ক সম্পাদক, জুহির উদ্দিন মিলন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ ফারুক আহমেদ।

দফতর সম্পাদক রেজাউল করিম, তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সম্পাদক শামীমা সুলতানা, সমবায় বিষয়ক সম্পাদক মো. আহসান হাবীব, কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক মো. শাহিনুর রহমান, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণবিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান মিয়াজী, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদবিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ মো. শামসুদ্দিন আজাদ, কৃষিবিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ আজমল হোসেন, দক্ষিণের সভাপতি সালাম বাবু ও উত্তরের সভাপতি আব্দুল হালিম খান।