মাজহারুল ইসলাম,রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: চর রাজিবপুর উপজেলার কৃষির উপর নির্ভরশীল চাষিরা, শীতকালীন সবজি চাষ করে সংসারের চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবাহ করতে দেখা যায়। চর রাজিবপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শিবের ডাঙ্গী এলাকাটি কৃষির উপর নির্ভরশীল কৃষকের সংখ্যা ৯৫ ভাগ। কৃষির উপর নির্ভরশীল এলাকাটি সরেজমিন ঘুরে দেখা দেছে একজমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করে ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়েছে। শীতকালীন বিশেষ প্রয়োজনীয় শাখসবজির দামেও পেয়ে তুলনামূলকভাবে অন্যান্য বছরের চেয়ে অনেক বেশি। তারা বলছেন প্রথমে রোপন করা হয়েছে বেগুন, তারসঙ্গে মূলা,লাল শাক রোপন করা হয় মুলা,বেগুন,মরিচ, লাল শাখসহ ৫ প্রজাতের মিশ্র ফসল। সবজি চাষি ফরজ আলী- নিয়মিত প্রতিবছর ৬২ শতকের ৩ বিঘা জমিতে মিশ্র সবজির চাষ করেন। তার পরিবার পরিজন এই ৩ বিঘা জমির ফসলের উপর নির্ভর করে এক ছেলে ৩ মেয়ের পড়ার যোগান দিয়েও স্বাবলম্বী। এই জমিতে প্রতিবছর মিশ্র সবজি উৎপাদন করে জীবিকা নির্বাহের পাশাপাশি বছরে আয় করছেন ১০ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন ১ লাখ টাকার মুলা বিক্রয় করা হয়েছে, ৭ লাখ টাকার বেগুন বিক্রি করা হয়েছে এছাড়াও মরিচ,লাউ থেকেও লাখ খানেক টাকা বিক্রি হয়েছে। তিনি বলেন সবজীর গাছ এখন পরিপুক্ত হয়েছে এজন্য তিন বিঘা জমির সবজি তিনদিন পর পর ৮০ থেকে ১০০ মন পর্যন্ত উঠিয়ে সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলার পাইকাররা এসে নিয়ে যাচ্ছে। প্রথম দিকে ৩৮০০ মন দরে পাইকারী বিক্রয় করা হয়েছে। বর্তমান ১৮০০ শো থেকে ২ হাজার টাকা দামে বেগুন পাইকারী দেওয়া হচ্চে তিনি বলেন আরও দাম কমবে।তারপরও আকাশ অনুকুলে থাকলে আশা করি সবজী থেকে আরও ৭/৮ লাখ টাকা আসবে। সবজি চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয়েছে ৩৫ হাজার টাকা। ৩৫ হাজার টাকা খরচা করে সবজি উৎপাদনে লাভ পাচ্ছে লাখ লাখ টাকা। এতে স্বাবলম্বী হচ্ছে এঅঞ্চলের সবজী চাষিরা। একই এলাকার সবজি চাষি কৃষক মাইদুল ইসলাম বলেন ১ বিঘা জমিতে আগাম জাতের মূলা বেগুন চাষ করে এখান থেকে আড়াই লাখ টাকার সবজী বিক্রি করেছে বলে জানা গেছে। মাইদুল ইসলাম মানুষের জমি বর্গা নিয়েও স্বাবলম্বী হওয়ার কথা জানায়। কৃষক বকুল জানান এক একর জমিতে মিশ্র ফসল চাষ করে প্রতিবছর খেয়ে দেও ৫ লাখ টাকা আয় করতে পেরে আমি ভালোভাবে চলতে, পারছি পাশাপাশি এঅঞ্চলের সবজী চাষিরা সবাই স্বালম্বী। কৃষক খাজা মিয়া জানান সবজির আবাদে ব্যাপক লাভ হয় যদি রোগক্রান্ত না হয়। পাশাপাশি সবজী ব্যবসায়ীরাও এখান থেকে সবজি কিনে স্বাবলম্বী হয়েছে। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের প্রতি আমাদের আভিযোগও রয়েছে। আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে সবজি উৎপাদন করে থাকি কিন্ত কৃষির সহযোগিতা পেলে আরও ভালো কিছু করতে পারতাম। তারা কৃষকদের সঙ্গে দেখা করে কোন পড়ামর্শ প্রদান করছেন না।
এবিষয় রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রতন মিয়া বলেন রাজিবপুর উপজেলায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ৫০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এবং সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে কৃষকরা দামাও ভালো পেয়েছে। কৃষকদের সবসময়ই দেখভাল করে যাচ্ছি পাশাপাশি কৃষকদের সরকারিভাবে সারবীজ বিনামূল্যে দেওয়া হচ্ছে।