মাজহারুল ইসলা,রৌমারী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: কুড়িগ্রামের রৌমারী-রাজিবপুরের চরাঞ্চলের কৃষকরা ব্যাপক হারে বাদাম চাষ করেছেন। বাদামের বাম্পার ফলনের আশায় কৃষকরা পথ চেয়ে বসে আছেন। রৌমারী’র পশ্চিমাঞ্চলীয় ব্রম্মপুত্র পারের গ্রাম গুলো যেন খেলাঘর। নদীর খেয়াল খুশিমতে প্রতি বছর ব্রম্মপুত্রের ভাঙ্গনের তান্ডবে কখনো বালুচর কখনো নদের তলদেশে পারিনত হয়। ওই অঞ্চলের মানুষ গুলো জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ফসলের প্রকারভেদ অনুযায়ী সাদা ধবধবে বালুর বুকচিড়ে বাদাম চাষ করে থাকেন।ওখানকার মানুষ চেয়ে থাকে চর জেগে উঠার অপেক্ষায়।
যেহেতু নদীর বুকচিড়ে জেগে উঠা ভুমি ৩মাস পড়েই আবার নদে পরিনত হবে, তাই ওরা বাদাম চাষ বেচে নেয়। রৌমারী’র পশ্চিমে ফলুয়ারচর, কান্দাপাড়া, খেরুয়ারচর, বড়চর, খেদাইমারী, ঘুঘুমারী, দক্ষিন ফলুয়া, পশ্চিম ফলুয়া,পাখিউড়ারচর,ধনারচর,কোমরভাঙ্গী,কোদালকাটী, বদরপুর,সহ ৫০টি গ্রামের মানুষ বাদাম চাষ করে খাদ্যের চাহিদা মিটায়।
সরেজমিনে গিয়ে বাদাম চাষী ইজ্জত আলী, রুবেল,কুরপান আলী, বাদশা, রফিকুল, আলম ও ছালাম,তাদের সাথে কথা হলে তারা বলেন, আমরা ৫০ টি গ্রামের প্রায় ১ লাখ মানুষ রবিশস্য হিসেবে বেচে নিয়েছি এমৌসুমে বাদামের আবাদ।
তারা আরও বলেন এক বিঘা জমিতে বাদাম চাষে খরচা হয় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা। যদি কোন প্রকার রোগবালাই না হয় তাহলে প্রতি বিঘায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ হয়, যারফলে বাদাম চাষে সবাই আগ্রহী। এলাকার অনেক মানুষ বাদামের আবাদ করে অল্পদিনেই স্বাবলীল হয়েছে। আষাঢী ফসল হিসেবে চিনা,ও কাউন চাষসহ বিভিন্ন জাতের ফসল চাষ করে সংসার চালাই।,
এহানে বালি মাটি হওয়ায় অন্য কোন ফসল হয়না। ভালো ফসল নাহলে জামু কোনে, নদীর সাথে যুদ্ধ কইরা বাপ দাদার ভিটেমাটি জমিজিরাত আকরে ধইরা আছি। তবে আগের চাইতে বর্তমান বাজারে বাদামের চাহিদা বেশী হওয়ায় যথেষ্ঠ লাভমান হচ্ছেন বাদাম চাষিরা।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইম চৌধরী জানান প্রতিবছরের ন্যায় এবছর রৌমারী ২হাজার একর জমিতে বাদাম চাষ করা হয়েছে। এমনকি এবছর বাদামের জমিতে পলিমাটি ও বালি মিশ্রিত থাকায় সন্তষ্ট জনক বাদামের ফলন আশা করা যাচ্ছে।
এবিষয় রাজিবপুর উপজেলা কৃষি অফিসার জানান রাজিবপুরের চরাঞ্চলে ৮২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। বাদামের বাম্পার ফলনও দেখা দিয়েছে,এতে প্রতিটিি কৃষকই লাভবামন হবেন।