কূটনীতিকদের বিরুদ্ধে সময় হলে অ্যাকশনে যাব: পররাষ্ট্রমন্ত্রী


রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ শনিবার বক্তব্য দিচ্ছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি : এনটিভি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বিদেশি কূটচালে বিশ্বের অনেক দেশ ধ্বংস হয়ে গেছে। বিদেশি দূতরা কোড অব কনডাক্ট না মানলে শক্তিশালী দেশগুলো চাইলেই ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু শক্তি না থাকায় সে পথে যেতে পারছে না বাংলাদেশ।

তবে সময় হলে বাংলাদেশ অ্যাকশনে যাবে বলেও কূটনীতিকদের হুঁশিয়ার করে দেন ড. মোমেন।

রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ শনিবার ফরেন অফিস স্পাউসেস অ্যাসোসিয়েশনের (ফোসা) উদ্যোগে দিনব্যাপী ‘আন্তর্জাতিক চ্যারিটি বাজার’উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশ কী বিদেশি কূটনীতিকদের বক্তব্যকে আমলে নিচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমেরিকার মতো দেশ তাদের গত নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগে রাশিয়ার ২০-২১ জন কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছিল। এছাড়া আমেরিকার অভ্যন্তরীণ যেসব সংস্থা রাশিয়াকে সহযোগিতা করেছিল বলে তারা মনে করেছে, তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা শক্তিশালী দেশ‌ হওয়ায় এসব পদক্ষেপ সহজেই নিতে পারে। আমাদের সেই শক্তি কিংবা সামর্থ্য নেই, তাই আমরা এ পদক্ষেপ নেইনি। তবে সময় হলে আমরাও অ্যাকশনে যাব।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিদেশিদের কূটচালে বিশ্বের অনেক দেশই ধ্বংস হয়ে গেছে। এ বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।

এর আগে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমি অডিটোরিয়ামে চ্যারিটি বাজারের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী ও ফোসার প্রধান পৃষ্ঠপোষক সেলিনা মোমেন।

এসময় পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব) মাসুদ বিন মোমেন, ফোসার সভাপতি পররাষ্ট্র সচিব (সিনিয়র সচিব)-এর সহধর্মিণী ফাহমিদা জেবিন সোমা, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিট) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খোরশেদ আলম, সচিব (পশ্চিম) সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামস, ঢাকায় নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূতগণ, আমন্ত্রিত অতিথি, ফোসার কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ফোসা পরিবারের সদস্যবৃন্দ এবং দর্শনার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এ আয়োজনে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও বুটিক পণ্যের প্রদর্শনী ও বিক্রয় করা হয়। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোর মাধ্যমে সংগৃহীত অন্যান্য দেশের পণ্যসামগ্রীও চ্যারিটি বাজারে স্থান পায়। ঢাকার বিদেশি দূতাবাসগুলোর মধ্যে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, প্যালেস্টাইন, পাকিস্তান, রাশিয়া, তুরস্ক, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের দূতাবাসও এই চ্যারিটি বাজারে অংশগ্রহণ করে। ফোসার সামাজিক ও কল্যাণমূলক উদ্যোগের অংশ হিসেবে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। চ্যারিটি বাজার থেকে অর্জিত আয় আর্তমানবতার সেবায় ব্যয় করা হবে।