নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী ব্রেন্টন ট্যারেন্ট তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা বিবেচনা করছেন। খবর রয়টার্সের।
ট্যারেন্টের দাবি, তিনি চাপের মুখে বাধ্য হয়ে আদালতে দোষ স্বীকার করেছিলেন। তাঁর আইনজীবী আজ সোমবার এমনটাই জানিয়েছেন।
২০১৯ সালের ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের লিনউড ও আল নূর মসজিদে হামলা চালায় ৩১ বছর বয়সী ট্যারেন্ট। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদে বিশ্বাসী ট্যারেন্টের নির্বিচারে চালানো গুলিতে ৫১ জন নিহত হন। আহত হন ৪০ জন।
৫১ জনকে হত্যা ও ৪০ জনকে হত্যাচেষ্টার অপরাধে ২০২০ সালের আগস্টে ট্যারেন্টকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন নিউজিল্যান্ডের একটি আদালত। নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে কোনো ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম।
ট্যারেন্ট আদালতে দায় স্বীকার করেছিলেন। আদালত তার রায়ে বলেন, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ভোগের ক্ষেত্রে ট্যারেন্ট কোনো প্যারোল সুবিধা পাবেন না।
ট্যারেন্টের আইনজীবী টনি এলিস সোমবার নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় বেতার রেডিও নিউজিল্যান্ডকে বলেন, তার মক্কেল তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার পরামর্শ দিয়েছেন। তাকে ট্যারেন্ট বলেছেন, অমানবিক ও অবমাননাকর আচরণের কারণে গত বছর তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করতে বাধ্য হন।
ট্যারেন্ট অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে তিনি সামরিক ধাঁচের আধা স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালান। তিনি নির্বিচারে গুলি চালিয়ে মুসল্লিদের হত্যা করেন। হত্যাযজ্ঞের দৃশ্য তিনি ফেসবুকে সরাসরি সম্প্রচারও করেন। এ হামলার জেরে নিউজিল্যান্ডে সব ধরনের আধা স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র নিষিদ্ধ করা হয়।