চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতারা রাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়া মরার আগেই কয়েকবার মেরে ফেলেছে মির্জা ফখরুলরা। তার জন্য প্রয়োজনীয় যতটুকু মানবিকতা দেখানোর শেখ হাসিনা তা দেখিয়ে যাচ্ছেন। খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপির যতটা উদ্বেগ, তার চেয়ে দলটি বেশি নোংরা রাজনীতি করছে।(বাসস)
ওবায়দুল কাদের আজ শনিবার বিকেলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলাচনা সভায় এসব কথা বলেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে মিলন হলে এই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপদেষ্টা ডা. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব কামরুল হাসান মিলন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
আওয়ামী লীগ জোর করে ক্ষমতায় থাকতে চায় না জানিয়ে দলটির সাধারণ সম্পাদক বলেন, গায়ের জোরে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় নেই বা আসতে চায় না। উন্নয়ন দেখে জনগণ ভোট দেবে। যদি জোর করে ক্ষমতায় আসতে হয়, তাহলে কেন পদ্মা সেতু করলাম? দেশের কেন এত উন্নয়ন করলো সরকার? সরকার কাজ করে ভোট চায়, জোর করে ক্ষমতায় আসতে চায় না।
আওয়ামী লীগ কোনো পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি পালন করে না দাবি করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন সমাবেশ করেছে। বিএনপির পাল্টাপাল্টি কিছু করতে যায়নি। জণগনের নিরাপত্তার জন্য শান্তির জন্য রাজপথে দাঁড়িয়েছি আমরা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে বিএনপি এমন অপেক্ষায় আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আটলান্টিকের ওপারের দিকে তাকিয়ে থাকায় বিএনপি নেতাদেগর দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসছে। তাদের রাতের ঘুম হারাম হয়ে গেছে দুশ্চিন্তা করতে করতে। তাদের চিন্তা কেন ভিসানীতি বা নিষেধাজ্ঞা আসে না, সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয় না কেন, এসব বিষয় নিয়ে চিন্তায় বিএনপির ঘুম হারাম।
মানবাধিকার নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলা রাষ্ট্রগুলোর বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, গণতন্ত্র আর মানবাধিকার নিয়ে সারা বিশ্বে দাপট দেখালেও তাদের নিজ দেশে স্কুলের বাচ্চারা মারা যাচ্ছে। তারাই আবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার নিয়ে কথা বলছে।