হোয়াইট হাউসের থেকে বিদায় নেয়ার ২৪ ঘণ্টা পেরুতে না পেরুতেই সামনে আসছে সদ্য বিদায়ী মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পোর আর্থিক সংকটের নানা চিত্র। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, ট্রাম্পের আর্থিক অবস্থা ভালো নেই, উল্টো তাঁর আর্থিক সংকট প্রকট হচ্ছে।
ক্ষমতা হস্তান্তরের পর হোয়াইট হাউস ছেড়ে স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পকে নিয়ে ফ্লোরিডার নতুন বাড়িতে উঠেছেন ট্রাম্প। এর কিছুক্ষণ পরই তার আর্থিক হিসাব-নিকাশের নথি প্রকাশ্যে এসেছে।
তাতে জানা গেছে, গেল বছর ট্রাম্পের নামে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২০ সালে ট্রাম্পের সব ব্যবসা প্রায় ৪০ শতাংশ কম আয় করেছে। ওয়াশিংটনে ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল ও স্কটল্যান্ডে তার প্রেসিডেন্ট’স টার্নবেরির আয়ও ৬০ শতাংশ কমে গেছে।
এদিকে গেল ৬ জানুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের পার্লামেন্ট ভবনে (ক্যাপিটল বিল্ডিং) ট্রাম্পপন্থিদের নজিরবিহীন হামলা, ভাঙচুর ও সহিংসতার ঘটনায় ট্রাম্পের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বহু কোম্পানি সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। যদিও ট্রাম্পের আয় কমে যাওয়ার উল্লিখিত হিসাব ক্যাপিটল হামলার আগের।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে ভ্রমণ কড়াকড়িকে ট্রাম্পের ব্যবসায় ধস নামার বড় কারণ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
ক্ষমতায় থাকাকালীন গেল ৪ বছরে ট্রাম্পের কাঁধে ৪২ কোটি ১০ লাখ (৪২১ মিলিয়ন) ডলারের ঋণের বোঝা থাকায় আগামী দিনগুলোতে তাঁর আর্থিক সংকট আর তীব্রতর হতে পারে বলে মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো আগেও সংবাদ প্রকাশ করেছিল।
এখন একদিকে ক্ষমতা হারিয়েছেন, অন্য দিকে ব্যবসা টিকিয়ে লাভের মুখ দেখতে ও ঋণের বোঝা কমাতে চারপাশ থেকে নতুন নতুন উপায় খুঁজে বের করতে হবে ট্রাম্পকে। অন্যথায় ক্রমেই বাড়তে থাকা ঋণ পরিশোধ করা সদ্য সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে খুবই দুরূহ হতে পারে।