
গোমস্তাপুর থানার ওসি মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি মুঠোফোনে জানান, আটককৃত মাসুদ রানা তার অস্ত্রের কোনও বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
এদিকে এনজিওটি’র পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে গ্রাহকদের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহ করে ফেরত না দেওয়ার। অভিযোগে জানা গেছে, শিবগঞ্জে এমআরএ’র কোনও অনুমতি ছাড়াই গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা আমানত নিয়ে তা ফেরত দিতে টালবাহানা শুরু করেছে ওই এনজিওটি। ইতোমধ্যে ওই এনজিও’র কর্মীরা গ্রাহকের সাড়ে ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সম্প্রতি জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর শাখা ব্যবস্থাপক আবু সায়েম প্রায় ৫৯ লাখ টাকা ও কর্মী শামীম রেজা ৪৩ লাখ টাকা, শ্যামপুর শাখার কর্মী নয়ন আলী ১৫ লাখ টাকা ও ছত্রাজিতপুর শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল খালেক ৮০ লাখ টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছেন।
এছাড়াও আরও কয়েকজন কর্মী প্রায় দেড় কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেলও তাদের এখনও কোনও সন্ধান মেলেনি। তারপরও ওই এনজিও কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।
বিনোদপুর শাখার গ্রাহক মোসাম্মাৎ শামিমা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, তার এফডিআর এর জমাকৃত সাড়ে ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করতে গেলে এনজিও’র শাখা ব্যবস্থাপক ইসমাইল হোসেন টাকা না দিয়ে উল্টো তার সাথে অসাদাচারণ করেন। তবে শুধু শামিমা আক্তার ই নয়, আলম আলীর ১০ লাখ টাকা, নাজমা বেগমের ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সুমি বেগমের ২ লাখ ৫০ হাজারটাকা, বেনজির আহম্মেদের ৩ লাখ টাকাসহ অর্ধশতাধিক গ্রাহকের এফডিআর এর লাখ লাখ টাকা নিয়ে ফেরত দিতে টালবাহানা করছেন সংস্থাটির কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে।