আফতাব হোসেন, চাটমোহর (পাবনা) থেকে: পাবনার চাটমোহরে ক্যান্সারে আক্রান্ত শুকচাঁদ বাঁচতে চায়। সমাজের বৃত্তশালীদের কাছে শুকচাঁদের বিনীত আবেদন আর দশ জনের মতো সেও স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও ১ ছেলেকে নিয়ে সুখের আলো দেখতে চায়। পাবনার চাটমোহর উপজেলার পৌর সদরের ছোট শালিখা মহল্লার মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে শুকচাঁদ দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত, সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রীর লেবার।
বড় মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন আর মেঝ মেয়ে স্থানীয় স্কুলে ১০ম শ্রেণিতে, ছেলে ৫ম শ্রেণিতে ও ছোট মেয়ে এবারে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাবে। সুখের সংসারে শুকচাঁদের শরীরে ক্যান্সার বাসা বেঁধে সংসার তছনছ করে দিলো। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়া এখন অনেকটা অনিশ্চিয়তার মধ্যে। ২০১৯ সালের শেষদিকে পেটে প্রচন্ড ব্যাথা। ডাক্তার দেখাতে যেতে হল রাজশাহী। ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে জানালেন পেটে ঘা হয়েছে অপারেশন করতে হবে।
শুকচাঁদ ধার দেনা করে অপারেশন করালেন। আট মাস ভালই ছিল সে। গত বছরের সেপ্টম্বর মাসে আবারও খারাপের দিকে গেলো শুকচাঁদের শরীর। ডাক্তার দেখাতে পুনরায় রাজশাহী গেল । এবার ডাক্তার পরীক্ষা নিরীক্ষা করে ক্যান্সার হয়েছে জানালেন। প্রতিবেশিসহ বালুচর, ছোট শালিখা, সমাজসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে কিছু টাকা সংগ্রহ করে শুকচাঁদ চিকিৎসার জন্য চলে গেল ঢাকা মহাখালী ক্যানসার হাসপাতালে।
ক্যানসার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিনা টাকায় কেমোথেরাপী দিতে রাজি হলো এবং ২১দিন পর পর আবারও ঢাকায় এসে কমো নিতে হবে। আর প্রত্যেক বার নিজ খরচে রক্ত ও করোনা পরীক্ষা করে রিপোর্ট নিয়ে আসতে হবে। প্রতিবার খরচ আসে প্রায় ২ হাজার টাকা।
এ’ছাড়া ওষুধ কিনতো বেশ টাকার প্রয়োজন হয়। আর কেমোথেরাপী ৬ থেকে ৮ বার নিতে হবে। আগামীতে ঔষধ কেনার অর্থতো নেই ই বরং সংসারে চলছে অমানবিক দূর্দিনে। ছেলে মেয়েদের লেখাপড়াও প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ছে।