পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার শিশাতলায় বাজারে আধিপত্ব বিস্তারকে কেন্দ্র করে মাইকিং এর মধ্যমে চারঘাটের শিবপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামের দুই পক্ষের সংঘর্ষে রেজাউল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ১০ জন।
সংঘর্ষের সময় একটি মোটরসাইকেল ভাংচুর করা হয়েছে। শনিবার জেলার চারঘাট উপজেলার শিবপুর ও পুঠিয়া উপজেলার দীঘলকান্দী গ্রামের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত রেজাউল ইসলাম চারঘাট উপজেলার শিবপুর গ্রামের মৃত হালিম উদ্দিন ওরফে হাকিমের ছেলে।
শনিবার বেলা বিকেলে ঘটনাস্থলে রেজাউল আহত হলে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতাল পুলিশ বক্স তার মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছে। এদিকে এ সংঘর্ষের ঘটনায় পুঠিয়া থানায় পুলিশ ১০ জনকে আটক এবং চারঘাট থানা পুলিশ দীঘলকান্দী গ্রামের ২ জনকে আটক করেছে।
থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দিন থেকে পুঞ্জিভুত ক্ষোভ, শিশাতলা বাজারে আধিপত্ব ও ঈদগাঁয়ের নাম পরিবর্তন সহ কয়েকটি বিষয়কে করে করে গত কয়েক বছর ধরে দুই গ্রামের মানুষের মাঝে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিল। গত কয়েকদিন ধরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছিল।
সেই বিষয়ে দু’পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, পুঠিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জি,এম হিরা বাচ্চু, চারঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর আলম ও পুঠিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত (ভারপ্রাপ্ত ওসি) খালেদুর রহমান সহ গন্যমান্য ব্যাক্তি। তারা দু’পক্ষকে নিয়ে সমঝোতার চেষ্টা করেন।
দুপুর ২টার দিকে হঠাৎ দীঘলকান্দী গ্রামের লোকজন সেখানে হামলা চালায়। সে সময় লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে সংর্ঘষের ঘটনায় পুলিশ সদস্য সহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র মোঃ ইফতে খায়ের আলম জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। পুঠিয়া ও চারঘাট থানায় মোট ১২ জন আটক রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।