নিজস্ব প্রতিবেদক, চারঘাট: রাজশাহীর চারঘাটে মানছুর রহমান নামের ৭০ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। তবে কারা এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে নিহতের নিজ বাস ভবনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তি উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে বলে নিশ্চিত করেছেন চারঘাট মডেল থানার ওসি মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম।
থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত মানছুর রহমানের স্ত্রী তার একমাত্র ছেলের বাড়ী ঢাকায় গত কয়েক দিন পুর্বে বেড়াতে গিয়েছেন। এজন্য তিনি তার নিজ বাড়ীতে একাই ছিলেন। রোববার রাত প্রায় সাড়ে আটটার দিকে বাড়ীর ভিতর থেকে গুংড়ানীর শব্দ শুনে ্রতিবেশীরা বাড়ীর ভিতর ঢুৃকে গলা কাটা অবস্থায় মানছুরকে পড়ে থাকতে দেখে। এসময় সংবাদ পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।
জানা গেছে, নিহত মানছুর রহমানের এক ছেলে ঢাকায় প্রকৌশলী হিসেবে চাকুরী করছেন এবং এক মাত্র মেয়ে শম্পা খাতুনের স্বামী আলতাব হোসেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত বিভাগে প্রভাষক হিসেবে শিক্ষকতা করছেন।
বিষয়টি সম্পর্কে চারঘাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা যাচ্ছে প্রাচীর টপকিয়ে দুবৃত্তরা বাড়ীতে প্রবেশ করে এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে। তবে এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকবে তাদের দ্রুত সময়ের মধ্যেই গ্রেফতার করা হবে বলে আশা করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন সোমবার সকালে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। এব্যাপারে নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।