চুলের সাজে কী সমাধান সহজে?


বঙ্গদেশে হেমন্ত ঋতু থেকেই বিয়ের ধুম পড়ে। কৃষকের ঘরে ঘরে তখন নতুন ধানে হয় নবান্ন উৎসব। এই সময়টাতেই বাবা তার কনেকে বরের হাতে তুলে দেন, আবার ছেলের বাবা ঘরে তোলেন নতুন বউ। তবে বিয়ের এই মৌসুমটা বরের চেয়ে কনের কাছে তুলনামূলকভাবে একটু বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বিয়ের সাজ নিয়ে বরের চেয়ে কনের ব্যস্ততা বেশি থাকে।

কনের সাজে বিশেষ গুরুত্ব পায় চুল। কেশবতী কন্যা কনের সাজে নিজের কেশকে বিশেষভাবে সাজাতে চান। জীবনের মধুর দিনটিতে চুলের সেরা সাজটিই প্রত্যাশা করেন সব কনে। কনের সঙ্গী হিসেবে যারা থাকেন তারাও পোশাক ও মেকআপের পাশাপাশি চুলের সাজ নিয়ে ব্যস্তিব্যস্ত হয়ে পড়েন।

হেমন্ত পেরিয়ে এখন বাংলার জমিনে শীতের আগমন ঘটেছে। বছরের অন্য সময়ের চেয়ে এসময়ে নানা উৎসবের পরিমাণও বেশি থাকে। করোনা মহামারির প্রভাবে অনুষ্ঠানাদির পরিসর কিছুটা সীমিত হলেও সাজসজ্জায় কেউ কমতি রাখতে চান না। কারণ যেকোনও অনুষ্ঠান মানেই ছবি তোলার বিশেষ উপলক্ষ।

তাই সুন্দর সাজের জন্য চুলের সাজেও সৌন্দর্যে বিকল্প নেই। যেকোনও নারীর আদর্শ কোমল চুলের অধিকারী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু সবার চুল তো আর একরকম হয় না। তবে একটু কৌশলী হলে আপনিও পেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত আদর্শ কোমল চুল।

প্রাকৃতিকভাবে চুলকে কোমল করার ক্ষেত্রে অ্যালোভেরাকে সেরা উপাদান ভাবা হয়। বাহারি সব গুণে ভরপুর প্রাকৃতিক এই উপাদান। যারা কোমন ঝলমলে চুলের অধিকারী হতে চান তাদের জন্য আশীর্বাদই বলা যায়। অ্যালোভেরার নিয়মিত ব্যবহারে চুল হয়ে পড়ে কোমল ও নজরকাড়া।

যুগ যুগ ধরে চুলের যত্নে নারকেল তেল ব্যবহার করা হয়। নারকেলের পুষ্টির সঙ্গে অ্যালোভেরার কোমলতার মিশ্রণে হতে পারে দারুণ কম্বিনেশন, যা একইসঙ্গে চুলকে করবে কোমল আর মসৃণ।

আবার সহজ সমাধান যারা খুঁজছেন তাদের জন্য এখন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড অ্যালোভেরা হেয়ার অয়েল। যেখানে নারকেল তেলের পুষ্টি আর অ্যালোভেরার কোমলতা- দুটোরই আশ্চর্য সমন্বয় রয়েছে। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুল হবে কোমল, মসৃণ ও আকর্ষণীয়। আর তখন যেকোনও উৎসব-অনুষ্ঠানের সাজেও আপনি হবেন অনন্যা, অতুলনীয়া।