জনপ্রশাসন পদক প্রদান অনুষ্ঠানে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা দেশ ও জনগণের কল্যাণে নিরলসভাবে কাজ করবেন তারা পুরস্কৃত হবেন। যারা খারাপ কাজের সঙ্গে জড়িত হবেন, তাদের কিন্তু ক্ষমা নেই। তাদেরও কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
জনপ্রশাসন দিবস উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগ দেন।
জনপ্রশাসন দিবস উপলক্ষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মাঠপ্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখায় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পদক ও সম্মাননা দেওয়া হয়। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত বছর এ পদক অনুষ্ঠান স্থগিত করা হয়েছিল। আজকের অনুষ্ঠানে ২০২০ সালের জন্য ১৫টি এবং ২০২১ সালের জন্য ২০টি জনপ্রশাসন পদক দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক সম্মাননা তুলে দেন। এ সময় জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব ড. খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা ভালো কাজ করবেন, যাদের ভেতরে নতুন নতুন ইনোভেটিভ আইডিয়া আছে বা দেশের কল্যাণের জন্য যারা কাজ করবেন, তারা পুরস্কৃত হবেন। আমরা ভালো কাজের স্বীকৃতি দিচ্ছি। ভালো কাজে যেমন আপনি পুরস্কার পাবেন। একইভাবে কেউ যদি খারাপ কিছু করে, তাদের কিন্তু ক্ষমা নেই। তাদেরও কঠোর শাস্তি পেতে হবে। এই শৃঙ্খলাটা থাকতে হবে, এই নিয়মটা থাকতে হবে। সেটাও অবশ্যই আমরা করব।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা যে আদর্শটা দিয়েছিলেন সে আদর্শটা সামনে নিয়ে আমরা এগোচ্ছি। যার ফলে একটা সরকার যে জনগণের সেবক সেটা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সব সময় বলতেন, তো আমরাও সেই নীতিতে বিশ্বাস করি। আমরা সেভাবেই চেষ্টা করেছি বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে। একটা যদি সুষ্ঠু দিক-নির্দেশনা না থাকে, যে আমরা কোথায় যাব, কী করব, কত দূর যাব। আবার সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ঠিক করতে হয়, তাহলে আমরা অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারি।
দায়িত্ব পালনে কর্মকর্তাদের উৎসাহিত করা, কাজে আগ্রহী করে তোলা, কাজের পরিবেশ সৃষ্টি করা এবং একটা আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি করাও সরকারের দায়িত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, যাদের নিয়ে আমরা কাজ করব, তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি করা, প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা এবং সঠিক কাজগুলো যেন আমরা করতে পারি, সে ব্যবস্থা নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। সেই সঙ্গে সঙ্গে কাজের একটা মূল্যায়ন করা বা স্বীকৃতি দেওয়া সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা পদক্ষেপ নেই। সরকারি কর্মচারী যারা থাকেন আসলে তাদের যদি সঠিকভাবে দিক-নির্দেশনা দেওয়া যায় বা কর্মপরিকল্পনা দেওয়া যায় তাহলে তারা যে অসাধ্য সাধন করতে পারেন, আজকে তাই প্রমাণিত।