নিজস্ব প্রতিবেদক: হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের ১০১ বছর জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে রাজশাহী জেলা পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে। বুধবার সকাল ৮টায় নগরীর লক্ষ্মীপুর মোড়ে রাজশাহী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার ও শাহানা আখতার জাহানের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তবক অপর্ণ করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশলী মাসুক-ই-মাহমুদ, প্রধান হিসাবরক্ষক আব্দুল মান্নান,উপ-সহকারী প্রকৌশলী সুজাউল হাসান, সার্ভেয়ার আলিফ আলী ও চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত সচিব মোঃ সামাউন ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।
এসময় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে আরো পুস্পস্তবক অপর্ণ করে ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং কলেজ অধ্যক্ষ সহ উক্ত কলেজের শিক্ষক-শিক্ষর্থী সহ কর্মকর্তা ও কর্মচরীবৃন্দ। পরিশেষে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুস্পস্তপক অপর্ণ করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজশাহী জেলা ইউনিটের নেৃতবৃন্দ।
পুস্পস্তবক অপর্ণ শেষে রাজশাহী জেলা পরিষদ কার্যালয়ে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সহ প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়। রাজশাহী জেলার ৯টি উপজেলার ২৪ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন রাজশাহী জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার ও জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানা আখতার জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন রাজশাহী জেলা পরিষদের সংরক্ষিত সদস্য-৪ ও প্যানেল চেয়ারম্যান-৩ নারগীস বিবি, সংরক্ষিত সদস্য-৫ জয় জয়ন্তী সরকার মালতি, সংরক্ষিত সদস্য-২ শিউলি রাণী সাহা, সংরক্ষিত সদস্য কৃষ্ণা দেবী, ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড সার্ভে ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ মাহমুদ হোসেন, প্রকৌশলী মাসুক-ই-মাহমুদ, প্রধান হিসাবরক্ষক আব্দুল মান্নান সহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী বৃন্দ।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহানের সভাপতিত্বে উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী সরকার বলেন, আজ এমন এক মহান ব্যাক্তি জন্ম বার্ষিকী জেলা পরিষদে পালন হচ্ছে তিনি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙলী ও বাংলাদেশ স্থাপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
এই মহান ব্যাক্তি সম্পর্কে কিছু বলার ক্ষমতা আমার নাই। যার ৭ই মার্চে ঐতিহাসিক বক্তব্য আজ পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষনা হয়। যে বক্তব্যের উপর গবেষনা করে পিইচডি দেওয়া হয়। যার একটি ভাষণে এদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে এদেশ পাকিস্থানের কাছ থেকে স্বাধীন করে এনেছে।
তিনি আরো বলেন, মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়। এই অল্প সময়ে তিনি এদেশের মানুষের স্বপ্ন পুরণ করতে পারেনি। আজ বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা এদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনকের রেখে যাওয়া স্বপ্ন গুলি একে একে পূরণ করছেন। “আমি হিমালয় দেখেনি কিন্ত বঙ্গবন্ধুকে দেখেছি” ফিডেল ক্যাস্ট্রোরর এই বক্তব্য দিয়ে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তার বক্তব্য শেষ করেন।
সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শাহানা আখতার জাহান তার বক্তব্য বলেন, আজ বঙ্গবন্ধ না জন্মালে এই বাংলাদেশের জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নারীদের জন্য কি করেছেন তা বিস্তারিত আলোচনা করেন।
আলোচনা সভার পর বঙ্গবন্ধুর আত্মার মাগফেরা কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়া মাহফিল শেষে ২৪ জন প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ।