নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঝিকরগাছার শংকরপুরের বড়পোদাউলিয়াই প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গলি দেখিয়ে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে । প্রভাবশালীরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বড়পোদাউলিয়া রাস্তার পাশে অবস্থিত একটি মাছের ঘের থেকে প্রতিদিন বালু উত্তোলন করছে। রাস্তা থেকে মেশিনের দুরত্ব ১৫/২০ফুট । রাস্তার পাশে অবস্থিত ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি হুমকির মুখে পড়েছে।বালু উত্তোলনকারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় ভুক্তভোগীরা বালু উত্তোলন বন্ধে স্থানীয় প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দিতে পাচ্ছে না। তবে তারা এ ব্যাপারে প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট সবার কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, ঝিকরগাছা বড়পোদাউলিয়া গ্রামের মনির মোটা অর্থের বিনিময়ে সড়কের কন্ট্রাক্টার শিমুলের সাথে যোগসাজস করে বড়পোদাউলিয়া টু কুমরী রাস্তার পাশে অবস্থিত মাছের ঘেরে ১ টি ড্রেজার মেশিন বসিয়ে ১০/ ১২ দিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। আনারুলের ১০ কাঁঠা ধানি জমির উপর ৪/৫ ফুট উচ্চতায় বালি পরিপূর্ণ করার পর রশিদের ১৪ কাঁঠা ধানি জমির উপরে বালু ফেলতে শুরু করেছে । প্রতিদিন তারা বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে লাভবান হলেও এলাকার ফসলি জমি, ও বিভিন্ন স্থাপনা হুমকির মুখে পড়েছে।
বড়পোদাউলিয়া গ্রামের কয়েকজন বলেন, বালু দস্যুরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বাধা দেয়ার সাহস করে না। এরা ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাস্তার পাশে অবস্থিত ঘের থেকে বালু উত্তোলন করছে। এতে গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় ঘরবাড়ি ফসলী জমি সহ বড়পোদাউলিয়া গ্রামে শত বিঘা আবাদি জমি ভাঙনের মুখে পড়েছে।এর একবছর আগে ওই বালুদস্যু শিমুল একই গ্রামে একটি রাস্তার কাজে ব্যবহৃত বালু বেত্রাবতী নদী থেকে অবৈধ ভাবে উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া যায়।
এদিকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে গ্রামের মানুষ চিন্তিত। ভুক্তভোগীরা জানান, ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন করা হলে ভরা বর্ষায় তাদের বসত ভিটা ও ফসলি জমি বিলিন হবে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ২০১০ সালে বালু উত্তোলন নীতিমালায় যন্ত্রচালিত মেশিন দ্বারা ড্রেজিং পদ্ধতিতে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও সেতু, কালভার্ট, রেললাইনসহ মূল্যবান স্থাপনার এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন করা বেআইনি। অথচ বালু দস্যুরা সরকারি ওই আইন অমান্য করে বড়পোদাউলিয়া টি কুমরী রাস্তায় পাশে অবস্থিত ঘের থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে।
এ বিষয়ে বালু উত্তোলনকারী শিমুল বলেন, এটা হচ্ছে রাস্তার কাজ। রাস্তার পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা যাবে। আর এ ব্যাপারে তিনি উপরের নির্দেশনা পেয়েছেন বলে জানান।
ঝিকরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরাফাত রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানার বাইরে ছিলো। তাছাড়া বালু উত্তোলন অবৈধ। খুব শিগগিরই তদন্ত পুর্বক উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।