আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির চুরি ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ডিসেম্বরে খেলা হবে। আমাদের নেতাকর্মীরা প্রস্তুত থাকুন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের জিয়াউর রহমান পুরস্কৃত করেছিল। বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিল। শুধু তাই নয়, ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ড জিয়াউর রহমান ও ২১ আগস্টের শেখ হাসিনার ওপর গ্রেনেড হামলার মাস্টার মাইন্ড তারেক রহমান। অর্থ পাচারকারী তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ডিসেম্বর মাসে শেখ হাসিনার ডাকে খেলা হবে।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আট বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে আজ শনিবার বিকেলে স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে সম্মেলন উদ্বোধকের বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফরিদপুরে আমরা বিএনপির অবস্থা দেখেছি, সেখানে শুধু টাকা ওড়ে। আকাশে-বাতাসে টাকা ওড়ে। কারণ সেখানে মনোনয়ন বাণিজ্য হচ্ছে। বস্তায় বস্তায় টাকা নিচ্ছে। বাংলার ইতিহাস বীরের ইতিহাস। পাশাপাশি বিশ্বাসঘাতকতার ইতিহাস। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু খুনিদের বিচার বন্ধ করতে আইন করেছিলেন। হাজার হাজার কোটি টাকা যারা পাচার করে সুইস ব্যাংকে জমা করেছে। অর্থ পাচারকারী তারেক রহমানের বিরুদ্ধে খেলা হবে। ডিসেম্বর মাসে শেখ হাসিনার ডাকে খেলা হবে।’
প্রধান বক্তা মাহবুব-উল আলম হানিফ বলেন, ‘আমাদের বর্তমান যে অর্থনৈতিক মুক্তি সেটাও হয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। এই বাংলাদেশ ছিল চরম দরিদ্র রাষ্ট্র। চরম হতাশার রাষ্ট্র। জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে সরকার গঠন করে। আজকে সেই বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। শেখ হাসিনার সরকার ২৬ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছে। শতভাগ মানুষ এখন বিদ্যুতের সুবিধা পাচ্ছে। ২০৪১ সালে আমাদের বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে।’
সম্মেলনে প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ মানেই বঙ্গবন্ধু। ৭৫ এ ১৫ আগস্ট থেকে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে পাকিস্তানি ধ্যান ধারণা কায়েম করতে চেয়েছিল। খুনিরা ইনডেমনিটি বিলের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকারকে খুনের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছিল। এতিমের টাকা মেরে খালেদা মুচলেকা দিয়ে রাজনীতি থেকে বিদায় নিয়েছে। এরা খুনি সংগঠন। স্বাধীনতাবিরোধী। খুনিদের সঙ্গে কোনো আপস নেই।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, প্রধান বক্তা মাহবুব-উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো. আব্দুস সবুর ও কেন্দ্রীয় সদস্য পারভীন সুলতানা কল্পনা।
পরে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকারের নাম পুনরায় ঘোষণা করা হয়। এ ছাড়াও সিনিয়র সহসভাপতি সাবেক মেয়র মো. হেলাল উদ্দিন, সহসভাপতি মো. হেলাল, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল বারী মন্টুর নাম ঘোষণা করা হয়।