তাইওয়ানের স্বাধীনতা মানেই ‘যুদ্ধ’, কড়া বার্তা চীনের


যুক্তরাষ্ট্রকে ইঙ্গিত করে চীনের অধিভুক্ত অঞ্চল তাইওয়ানকে কড়া ভাষায় সতর্ক করে বেইজিং বলেছে, ‘তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়া মানেই ‘যুদ্ধ’।’

স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) বিমান বাহিনীর সাম্প্রতিক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে চীনা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উ কিয়ান এ হুঁশিয়ারি দেন।

তিনি বলেন, ‘তাইওয়ান চীনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাইওয়ান জলসীমায় চীনা লিবারেশন আর্মি দ্বারা পরিচালিত সামরিক কার্যক্রম তাইওয়ান সমুদ্রের বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোকাবিলা ও জাতীয় সার্বভৌমত্ব ও সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ।’

উ কিয়ান বলেন, ‘তাইওয়ানের অল্প সংখ্যক লোক দ্বীপটির স্বাধীনতা চায়। যদিও এসব স্বাধীনতাকামীদের অনেক আগেই আমরা সতর্ক করেছি। তাদের যে দেশ (যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ইঙ্গিত করে) উস্কানি দিচ্ছে তাদেরও সতর্ক করেছি। এটি মনে রাখতেই হবে, তাইওয়ানের স্বাধীনতা চাওয়া মানেই ‘যুদ্ধ’।’

এদিকে একইদিন তাইওয়ানের বিরুদ্ধে চীনের কঠোর বার্তাকে ‘দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করেছেন পেন্টাগনের প্রেস সেক্রেটারি জন কিরবি। চীন-তাইওয়ান নিয়ে বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকেই এটিই প্রথম প্রতিক্রিয়া।

চীন তাইওয়ানকে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত প্রদেশ হিসেবে দাবি করলেও তাইওয়ানের জনগণ তাদের সার্বভৌম রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে মনে করে। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট তাসই ইং-ওয়েন বরাবরই বলে আসছেন, তাইওয়ান কারও অধিভুক্ত নয়, তাইওয়ান একটি স্বাধীন দেশ।