সাইদ সাজু, তানোর থেকেঃ তানোরে বায়ার কোম্পানির ঔষুধ জমিতে স্প্রে করার পর পুড়ে গেছে অধর্শত প্রান্তিক কৃষকদের শত শত বিঘা জমির আলুর গাছ। শনিবার রাত ১১টার দিকে এরিপোর্ট লিখার সময় বায়ার কোম্পানির কর্তারা ডিলারদের সাথে নিয়ে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে কৃষি কর্মকর্তাসহ ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের মধ্যে থেকে কয়েকজনের সাথে বৈঠক করেছিন।
অপর দিকে ক্ষতিগ্রস্থ্য অন্য প্রান্তিক কৃষকরা দিশা হারারমত চোখে মুখে হতাশার ছাপসহ অজানা আতংকের মধ্যে দিয়ে রাতের এই ঠান্ডার মধ্যে সামান্য পোষাক গায়ে জড়িয়ে হন্যহয়ে থানা মোড়সহ ডিলারের দোকানের আশে পাশে ঘুরা ঘুরি করছিলেন।
এসময় কথা হয় উপজেলার শুকদেবপুর গ্রামের নাদের আলীর ছেলে প্রান্তিক আলু চাষী শামিম হোসেনের সাথে তিনি বলেন, এবছর তিনি সাড়ে ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন, সব ধরনের মোড়ক থেকে আলুকে রক্ষার জন্য শুক্রবার তিনি বায়ার কোম্পানির ঔষুধ জমিতে স্প্রে করার পর দিন শনিবার সকালে জমিতে গিয়ে দেখেন স্প্রে করা জমির সবগুলো আলুর গাছ পুড়ে গেছে।
একই কথা বলেন তার সাথে আসা তার গ্রামের ইয়াদ আলী ছেলে আসমত আলী। তিনি বলেন, তিনিও এবছর ২ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছিলেন তারও একই অবস্থা।
তারা বলেন, গোল্লা পাড়া বাজারের সৈয়ব আলী ট্রেডার্সের মালিক সৈয়ব আলী বায়া’র কোম্পানির ডিলাম তার মাধ্যমেই বায়া’র কোম্পানির এন্টাকল নামক প্রতিসেধক ঔষুধ জমিতে স্প্রে করার পর ৫০ থেকে ৬০ জন প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র আলু চাষীর শত শত বিঘা জমির আলুর গাছ পুড়ে গেছে।
ফলে, তারা ক্ষতিগ্রস্থ্য হওয়ার পাশাপাশি ভেঙ্গে গেছে ক্ষুদ্র এইসব আলু চাষীর স্বপ্ন। সেই সাথে ক্ষুদ্র প্রান্তিক এইসব আলুচাষীর অনেককেই সব হারানোর মত নিঃস্ব হয়ে পথে বসতে হওয়ার চিন্তায় দিশে হারা হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ্য আলু চাষীরা তাদের ক্ষতি পুরন পাওয়ার আশায় প্রশাসেনর উর্বধতন কর্তৃপক্ষের জরুরী ভাবে সু-দৃষ্ঠীসহ হস্থ্যক্ষেপ কামনা করেছেন।
এবিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করে তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতোর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। অপর দিকে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামিমুল ইসলামের সাথেও কথা বলা যায়নি।
তবে, রাতেই তানোর থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাকুবল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থ্য প্রান্তিক এসব আলু চাষীদের ক্ষতিপুরন পাইয়ে দেয়ার চেষ্টা চলছে।
তিনি বলেন, শতশত বিঘা জমির আলু পুড়িয়ে ফেলার পেছনের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি।