তানোরে মেম্বারের বিরুদ্ধে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড দেয়ার নামে টাকা নিয়ে হয়রানীর অভিযোগ


তানোর প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ রশিদা বেগমের বিরুদ্ধে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে টাকা নিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভোক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানাগেছে।
ভোক্তভোগীরা হলেন উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ধানোরা গ্রামের মোসাঃ জোসনা বেগম, একই গ্রামের মোসাঃ আঙ্গুরী বেগম, মোঃ মোজাফফর, চকসাজুড়িয়া গ্রামের মোসাঃ সুফিয়া বেগম।
লিখিত অভিযোগে ভোক্তভোগীরা জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ রশিদা বেগম  গত ১ বছর পূর্বে  বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড করে দিবে মর্মে ভোক্তভোগীদের নিকট থেকে  জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি নিয়েছে কিছু দিন পরে কার্ড হয়ে গিয়েছে বলে মোসাঃ সুফিয়া বেগমের নিকট থেকে নগদ ৭০০০/- টাকা, মোসাঃ জোসনা বেগমের নিকট থেকে নগদ ৩০০০/- টাকা, মোসাঃ আঙ্গুরী বেগমের নিকট থেকে নগদ ৫০০০/- এবং মোজাফফরের নিকট থেকে নগদ ৫০০০/- টাকা কৌশলে হাতিয়ে নেন মহিলা মেম্বার রশিদা।
ভোক্তভোগীরা আরও জানান, মেম্বারের চাহিত টাকা দেয়ার পরেও তাদের  নামে কোন কার্ড হয়নি। ভোক্তভোগীরা  টাকা ফেরত চাইলে ইউপি সদস্য রশিদা বলেন আমি তোমাদের টাকা ফেরত দিতে পারিবো না,  আমি একজন সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য তুমি আমার কিছুই করিতে পারিবেনা। বেশি বাড়াবাড়ী করিলে আমি তোমার অনেক ক্ষতি করে দিব বলে বিভিন্ন প্রকার হুমকী দেয়।
এবিষয়ে উপজেলার কামারগাঁ ইউনিয়নের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মোসাঃ রশিদা বেগমের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার নামে টাকা নিয়ে হয়রানীর অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, আমি কারো নিকট থেকে টাকা নিয়ে কার্ড করে দিইনি। আমি আমার দায়িত্বের মধ্য থেকে জনগণের সেবা করছি। আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষা পরায়ন হয়ে লুৎফর মেম্বার ও মজিদ নেতা অপপ্রচার করছে। এমন কথা বলে তিনি অন্যদের দায়ী করে কৌশলে এড়িয়ে যান।ভোক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি তাদের সাথে কথা বলেছি যে সকল অভিযোগ হয়েছে সে অভিযোগের বিষয়ে ভোক্তভোগীরা নিজেরাই অবগত নন।
অভিযোগের বিষয়ে ভোক্তভোগীদের সাথে প্রতিবেদক যোগাযোগ করলে অভিযোগকারীরা অভিযোগের সতত্য শিকার করে বলেন আমরা স্থানীয় ভাবে অনেকবার তাকে টাকা ফেরতের কথা বলি কিন্তু তিনি আমাদের কোনো কথাই শুনেন নি বরং হুমকি দিয়েছেন সব শেষে ন্যায্য বিচারের দাবিতে ২০ আগস্ট তানোর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছি।
এবিষয়ে কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন আলী প্রামানিক বলেন, এমন অভিযোগ আমি মৌখিক ভাবে জেনেছি, বাদি- বিবাদি কে নিয়ে শিঘ্রই বসে, সত্যতা যাচাই পূর্বক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।