তানোর প্রতিনিধি: রাজশাহীর তানোরে হাই কমান্ডের গ্রিন সিগনালে আ’লীগ দলীয় মেয়র প্রার্থী হচ্ছেন রাজপথের লড়াকু সৈনিক তানোর পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ওহাব সরদার। তানোর পৌরসভাকে একটি আধুনিক উন্নতমানের পৌরসভায় গঠনের লক্ষে সকলের সহযোগীতা ও দোয়া কামনা করে বিভিন্ন স্থানে মতবিনীময়সহ গনসংযোগ শুরু করেছেন তিনি। হাই কমান্ড থেকে তাকে দেয়া গ্রিন সিগনালের পর তিনি মাঠে নেমে গনসংযোগসহ দলীয় স্থানীয় নেতা-কর্মিদের সাথে যোগাযোগ রক্ষার পাশাপাশি নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন তিনি।
আ’লীগ পরিবারের সন্তান ওহাব সরদার ছাত্র জীবন থেকেই আ’লীগের রাজনীতির সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আপদে বিপদে সর্বদা পাশে থেকে সহায়তা করে আসছেন। তিনি জামায়াত-বিএনপির আমলে সামনের কাতারে থেকে লড়াই সংগ্রাম করে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছেন। ২০০১ সালে জামায়াত বিএনপি ক্ষমতায় আসেন এবং তানোর গোদাগাড়ী থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার আমিনুল হক মন্ত্রী হন। ওই সময়ে তাদের দাপটে আ’লীগ নেতা-কমির বেশীর ভাগই কনঠাষা হয়ে কেন্দ্রীয় আ’লীগের কর্মসুচী পালনে অনেকেই এগিয়ে আসতেন না। কিন্তু ওহাব সরদার নিজের ন্যায় ও নিষ্ঠায় সাহসী ভুমিকা নিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসুচী পালনে এগিয়ে আসতেন এবং রাজপথে সামনের কাতারে থাকতেন। সাহসী যুবক অন্যায়ের বিরুদ্ধে বারুদের মতে জ্বলে উঠে বুকে সাহস নিয়ে লড়াই সংগ্রাম করেছেন।
এলাকার জনসাধারনকে সহায়তার পাশাপাশি রাজপথের প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবেও তার গ্রহন যোগ্যতাও রয়েছে উচ্চ শিখরে। তিনি অবহেলীত এই পৌরবাসীর সুুখে দুখে সর্বদাই পাশে থাকেন। এলাকার দরিদ্র শ্রেনী পেশার মানুষ বিপদে আপদে তার কাছে ছুটে যান সহায়তা পাওয়ার আশায়। তিনিও সাধ্যমত সকলের ডাকে সাড়া দিয়ে বন্ধু হিসেবে পাশে দাড়িয়ে যান প্রথম শ্রেনীর ঠিকাদার উদার মনে সম্ভ্রান্ত সরদার পরিবারের সন্তান ওহাব সরদার। গোল্লাপাড়া গ্রামের তাদের বংশীয় সুনাম ক্ষ্যতির পাশাপাশি নিজের ন্যায় নিষ্ঠায় জনগনের কাছে গ্রহন যোগ্যতায় এগিয়ে রয়েছেন তিনি।
তানোর পৌর বাসী বলছেন, উদীয়মান এই তরুন যুবলীগ নেতাকে যখন ডাকা হয় তখনি পাওয়া যায়, ওহাব সরদার দরিদ্রদের সেবায় নিজেকে সর্বদাই নিয়োজিত রেখে বন্ধু হিসেবে পাশে থাকেন। তারা বলছেন, এমন এক নেতাকেই আমরা পৌরবাসী পৌর মেয়র হিসেবে পেতে চাই। ওহাব সরদারের নিজ গ্রাম গোল্লাপাড়ার বিভিন্ন ব্যাক্তির সাথে কথা বলে জানা গেছে, সম্ভ্রান্ত সরদার পরিবারের সন্তান ওহাব সরদার পারিবারিক ভাবেই ধন সম্পদ ও প্রতিপত্তির মালিক।
যখন যেখানে দরিদ্রদের সাথে অন্যায় হতে দেখেন তখনই সদা মিষ্টি হাসির তরুন নেতা অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাপটের সাথে বারুদের মতো জ্বলে উঠে ন্যায় বিচার ও দরিদ্রদের হক আদায়ে সর্বদা সচেষ্ঠ থাকেন। তিনি ছোট থেকেই তার ব্যবসার আয় থেকে একটি অংশ দরিদ্রদের মাঝে দান অনুদান দিয়ে থাকেন। তার ন্যায় নিষ্ঠায় মুগ্ধ হয়ে জনগন বিপদে আপদে তার কাছে গিয়ে সঠিক বিচার পেয়ে খুশি হন। অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে দরিদ্রদের পাশে থাকায় এলাকার দরিদ্র নিপীড়িত মানুষ তাকে বন্ধু হিসেবে পাশে পাওয়া সবার মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন কতরে সক্ষম হয়েছেন। একাধীক ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতা বলেন, জামায়াত- বিএনপি’র আমলে ওহাব সরদার সামনের কাতারে থেকে লড়াই সংগ্রাম করেছেন। মিছিল মিটিং প্রতিবাদ সভা তিনি সামনের কাতারে থেকে নেত্রীত্ব দিয়েচেন। ওই সময় অল্প সংখ্যক মানুষ আ’লীগের রাজনীতি করতেন এর মধ্যে ওহাব সরদার অন্যতম। ওই সময় কেন্দ্রীয় আ’লীগের কর্মসুচী পালন করতে অনেকেই ভয় পেলেও তিনি থেমে থাকতেন না, কর্মসুচীগুলো পালন করতেন। তার ডাকে সাড়া দিয়ে বিভিন্ন এলাকার শত শত যুবক একত্রিত হন।
ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অংগ সংগঠনের অনেক নেতার দাবি, আ’লীগের দূর্দিনে নিজ জীবনের মায়া ত্যাগ করে রাজপথে থেকে যারা দলকে ক্ষমতার আসনে আসিন করতে লড়াই সংগ্রাম করেছেন তাদেরকে সু-সময়ে মুল্ল্যায়ন করা উচিৎ। তারা বলেন, ওহাব সরদারকে আগামী নির্বাচনে তানোর পৌর মেয়র পদে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করা হোক। এলাকাবাসী বলছেন, ছোট থেকেই ওহাব সরদার আমাদের পাশে থেকে বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে আসছেন তাকে মেয়র হিসেবে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার দাবি তাদেরও।
এবিষয়ে তানোর পৌর নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী তানোর পৌর যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক ওহাব সরদার বলেন, জামায়াত-বিএনপি’র আমলে মিছিল সমাবেশ করার লোক খুজে পাওয়া যায়নি, তাদের অনেকেই এখন সুবিধা ভোগ করছেন। যারা লড়াই সংগ্রাম করে দলকে ক্ষমতায় আসতে সহায়তা করেছে তাদেরকে মুল্ল্যায়ন করা উচিৎ। তিনি বলেন, সামেনর কাতারে থেকে লড়াই সংগ্রাম করেছি, দীর্ঘদিন থেকেই দলের সাথে থেকে সাধারন মানুষের সেবা করছি। আগামী নির্বাচনে আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছি। তিনি বলেন, দল যাকে মনোনয়ন দিবে তাকেই মেয়র করার জন্য যা করা লাগে তাই করবো ইনশাল্লাহ। তবে, তিনি বলেন হাই কমান্ডের কাছ থেকে গ্রিন সিগনাল নিয়েই মাঠে নেমেছি। এবার তানোর পৌর সভায় আ’লীগ দলীয় মনোনয়ন তাকেই দেয়া হবে বলে জানান তিনি। তিনি বলেন মেয়র নির্বাচিত হলে সকলকে নিয়ে তানোর পৌর সভাকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভায় রুপান্তরিত করবো ইনশাল্লাহ।