এ বছরই সরকার পতনের ঘোষণা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশ্যে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান ও কৃষকদলের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘দিন-তারিখ দেবো না, তবে এ বছরের মধ্যে আপনি প্রধানমন্ত্রী বিছানাপত্র গোছাতে পারেন।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা যদি প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলে তারেক রহমান না হওয়ার কী আছে?’
প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে শামসুজ্জামান দুদু আরও বলেছেন, ‘এ দেশে বাংলাদেশিরা থাকবে, মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতা রক্ষার সৈনিকেরা থাকবে। এ দেশে অন্য কোনও দেশের কোনও দালাল-টালালরা থাকবে না।’
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির প্রতিবাদে এক বিশাল মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দুদু বলেন, ‘স্লোগান দেন আর না দেন আন্দোলন করেন আর না করেন শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে পারবে না,পারবে না, পারবে না। চারিদিকে নানা কথাবার্তা ফুসফাস আমরা শুনতে পাচ্ছি, আপনি (প্রধানমন্ত্রী) কি শুনতে পান না? অবস্থা ভালো না। প্রধানমন্ত্রী, আপনাকে বলি- বিএনপি আপনাকে উৎখাত করতে চায় না। কিন্তু এদেশের মানুষ আপনাকে আর চায় না।’
বিএনপির এই শীর্ষনেতা বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এ দেশে আসবেন। তিনি আসবেন এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য, এদেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য। তিনি আসবেন এদেশের কৃষকের জন্য শ্রমিকের জন্য, আসবেন এদেশের মেহনতি মানুষের জন্য। তাকে ঠেকাবেন কীভাবে? তিনি ইতোমধ্যে ব্যারিস্টারি পাস করেছেন। আইনের ওপর তিনি বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে রয়েছেন। এসব মামলা-টামলা করে লাভ নেই।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দুদু আরও বলেন, ‘আপনাদেরকে পার্টি যখন ডাক দেবে আমরা যে যেখানে থাকি না কেন যার যা কিছু আছে তাই নিয়ে সবাই একযোগে রাস্তায় নেমে আসবেন।’
বিএনপর যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি হাবিব-উন-নবী খান সোহেল এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নির্বাহী কমিটির সদস্য নাজিম উদ্দিন আলম, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফৎ আলী সপু, সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামিমুর রহমান শামিম, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোর্তাজুল করিম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবকদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েল, সিনিয়র সহ-সভাপতি গোলাম সারোয়ার, কৃষকদলের সদস্যসচিব কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন, ছাত্রদল সভাপতি ফজলুর রহমান খোকন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী রওনুকুল ইসলাম শ্রাবণ ও সাধারণ সস্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল প্রমুখ বক্তব্য দেন।
মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির সহ-যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, মৎস্যজীবী দলের সদস্যসচিব আব্দুর রহিম, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি ডা: দেওয়ান সালাউদ্দীন বাবু, সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আবু আশফাক, কৃষকদলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মাইনুল ইসলাম, কৃষিবিদ মেহেদী হাসান পলাশ, ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান আমিন, সাংগঠনিক সাইফ মাহমুদ জয়েল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের আহ্বায়ক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও যুগ্ম-আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।