দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা হতে পারে সাপাহারের আম!


মনিরুল ইসলাম, সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি: মধুমাসে আমের রাজধানী খ্যাত নওগাঁর সাপাহারে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে। আবহাওয়া এখনো পর্যন্ত অনুকূলে থাকার ফলে আমের গুণগত মান ভালো রয়েছে। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় প্রায় ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আম চাষ হয়েছে। আমের ফলনও এ পর্যন্ত ভালো আছে বলে জানিয়েছেন আমচাষীরা। প্রাকৃতিক দুর্যোগ দেখা না দিলে দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানী করা হতে পারে সাপাহারের আম।

এলাকার বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে নানান জাতের আম। সবচেয়ে সেরা আম উৎপাদন করতে চেষ্টার কোন ঘাটতি নেই আমচাষীদের। চলতি মৌসুমে এই উপজেলায় অনাবৃষ্টির কারণে অনেকটাই বিপাকে ছিলেন আমচাষীরা। সম্প্রতি সময়ে কয়েক দফায় বৃষ্টি হবার ফলে অনেকটা স্বস্তি বোধ করছেন বাগান মালিকরা। সবচেয়ে ভালো মানের আম উৎপাদন করার লক্ষ্যে শেষ সময়েও বাগান পরিচর্যার কাজ করছেন বাগানীরা।

উপজেলার বাগানগুলোতে সম্প্রতিকালে আমের গুণগত মান ভালো রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা না দিলে চলতি মৌসুমে গত বছরের তুলনায় আমের বাম্পার ফলন হবে। এছাড়াও আর্থিকভাবে লাভবান হবেন আমচাষীরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মজিবুর রহমান এ প্রতিনিধিকে জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় মোট ৯ হাজার হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। এবছরে আমের উৎপাদন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লক্ষ মেট্রিক টন।

 

উপজেলার বাগানগুলোতে গুটি আম, গোপালভোগ, রানী পছন্দ, খিরসাপাত, হিমসাগর, নাগফজলী, ল্যাংড়া, ফজলী, আ¤্রপালী, আশ্বিনা, বারী-৪ এবং ঝিনুক জাতের আম চাষ করছেন চাষীরা।

 

সাপাহার উপজেলার আমবাজার সমিতির সভাপতি কার্তিক সাহা জানান, এ বছর বড় আকারের প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হওয়ায় আমের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। এজন্য ধার্যকৃত লক্ষমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণে আম উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।

 

উপজেলায় ২০ মে হতে গুটি আম ভাঙ্গার মধ্যে দিয়ে আম সগ্রহের শুভ সূচনা হয়েছে। এছাড়াও ২৭ মে থেকে গোপালভোগ ও রানিপছন্দ আম, ২রা জুন থেকে খিরসা পাত ও হিমসাগর আম, ৪ঠা জুন থেকে নাগফজলী আম, ১০ জুন থেকে ল্যাংড়া আম, ২০ জুন থেকে ফজলী আম, ২২ জুন থেকে আম্রপালী আম এবং ৮ জুলাই থেকে আশ্বিনা, বারী-৪ ও ঝিনুক জাতের আম ভাঙ্গা শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

বড় আকারের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে চলতি মৌসুমে দেশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে আম রপ্তানী করা যেতে পারে বলে মনে করছেন সচেতনরা।