
জেলার মহাদেবপুর উপজেলার নাটশাল মাঠে নওগাঁর পাশবর্তী জয়পুরহাট, নাটোর, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়াসহ কয়েকটি জেলার ৩৫ টি দল উৎসবে অংশ নেয়। এসময় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন উৎসবে যোগ দিয়ে শিশু, কিশোর-কিশোরীসহ নানা বয়সী মানুষ দলবদ্ধ ছন্দময় নাচের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভাষা সংস্কৃতি তুলে ধরে। এ সময় পুরো এলাকা ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠিসহ সকল স¤প্রদায় মানুষের হয়ে উঠে মিলন মেলা। এলাকার কারাম উৎসব উপলক্ষে ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠির এখন মূখরিত হয়ে থাকে।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদ সভাপতি আমিন কুজুর বলেন- ১৯৯৬ সাল থেকে জাতীয় ভাবে এ উৎসব পালনের চেষ্টা করা হচ্ছে। কারাম উৎসবে বিভিন্ন জেলার ৩৫ টি দল অংশ নিয়ে দলবদ্ধ ছন্দময় নাচের মাধ্যমে তাদের নিজেদের ভাষা সাংস্কৃতি তুলে ধরে। আমাদের ৯টি দাবী রয়েছে। তারমধ্যে আদিবাসী হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি ও পৃথক ভ‚মি কমিশন গঠন করা।
জাতীয় আদিবাসী পরিষদের উপদেষ্টা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আজাদুল ইসলাম বলেন- আদিবাসীরা হচ্ছে প্রকৃতির পূজারি। তারা মনে করে প্রকৃতি তাদের ভাল রাখতে পারবে। আর এলক্ষ্যে তারা কারাম পুজা করে থাকে। এ পুজার মাধ্যমে পরিবার, সমাজ ও দেশের মঙ্গল বনে নিয়ে আসবে বলেও মনে করা হয়। যুগ যুগ ধরে তারা এ উৎসব। তারা একক ভাবে বাড়িতে পুজা না করে সমবেত ভাবে এ মাঠে উৎসব করে আসছে প্রায় ৩০ বছর ধরে। এ মিলন মেলার মধ্য দিয়ে তাদের যে ন্যায্য দাবী রয়েছে তা আদায় হবে বলে আশাবাদী।
কারাম পূজা উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন- নওগাঁ-৩ (মহাদেবপুর-বদলগাছী) আসনের সাংসদ ছলিম উদ্দিন তরফদার সেলিম। তিনি বলেন- দীর্ঘদিন থেকে ঐতিহ্যবাহী কারাম উৎসব হয়ে আসছে। আদিবাসী হিসেবে স্বীকৃতি সহ তাদের ভাষা পাঠ্যপুস্তকে লিপিবদ্ধ করতে চাই। সরকার তাদের প্রতি যথেষ্ট আন্তরিক। আওয়ামীলীগ সরকার তাদের সেই স্বীকৃতি দিতে পারে।