আদালত সূত্রে জানা যায়- আসামী আব্দুল হালিম জেলার খাদখোড়া গ্রামের ভুক্তভোগী গৃহবধূর পূর্ব পরিচিত ও দুরসম্পর্কের আত্মীয়। গত ২০২০ সালের ৯ মে গৃহবধুর বাড়িতে বেড়াতে এসে রাত হয়ে যাওয়ায় গৃহবধূর বাড়িতে থেকে যান। রাত সাড়ে ১১টার সময় গৃহবধূর কাছে পানি পান করতে চান আব্দুল হালিম। গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে না থাকায় নিজেই তাকে শয়ন ঘরে পানি দিতে গেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এতে গৃহবধূ গর্ভবতী হয়ে পড়ে এবং একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেন। ধর্ষনের শিকার গৃহবধূ আদালতে মামলা দায়ের করলে আদালত মামলাটি সংশ্লিষ্ট থানায় রেকর্ডের নির্দেশ দেন।
তদন্তকারী কর্মকর্তা তদন্ত শেষে আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত চার কর্মদিবসের মধ্যে ছয়জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহন শেষে যুক্তিতর্ক শ্রবনের জন্য ধার্য থাকলে আসামী পলাতক থাকায় নিয়ম অনুযায়ী তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন আইনজীবী এস.এম সারোয়ার হোসেন।
উভয় পক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে জনাকীর্ণ আদালতে বৃহস্পতিবার পলাতক আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে। এছাড়াও এক লক্ষ টাকা অর্থদন্ড অনাদায়ে ছয় মাস বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করার রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মেহেদী হাসান তালুকদার। রায় ঘোষণার সময় আসামী পলাতক থাকায় সাজা পরোয়ানাসহ তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী করেন আদালতের বিচারক। জরিমানার টাকা ভুক্তভোগী নারীকে দেয়ার নির্দেশ দেন আদালত।