
পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সামসুল আলম এবং মামুনুর রশিদ এর যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, শাকিল আহমেদ বাদল, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন মন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামেদ আলী, বর্ষাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, তিলকপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ঝুলন। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক প্রবীর দাস লাদু, ৯টি ওয়ার্ড ও ১২টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক ও বর্তমান নেতৃবৃন্দ। এছাড়া জাতীয় মহিলা শ্রমিক লীগের পৌর শাখার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
বিপদে দলীয় নেতা-কর্মীদের পাশে থাকার কথা উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, দু:সময়ে এই শিষাণ ভাই দলীয় নেতা-কর্মীদেরসহ সাধারণ মানুষের পাশে সর্বদা থেকেছেন। আর শেখ হাসিনা বলেছেন যারা দুঃসময়ে আমার নেতাকর্মীদের পাশে থেকেছেন, সহযোগীতা করেছেন আমি তাকে মনোনয়ন দিবো। সেদিক থেকে শিষাণ ভাই নৌকার মনোনয়ন পাবে, আমরা তা বিশ্বাস করি।
তারা বলেন, আমরা এই ৫বছরে অনেক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। প্রয়োজনে আমরা পায়ে হেটে গিয়ে শিষাণের যোগ্যতা দিয়ে নৌকা প্রতীক নিয়ে আসবো। এই পৌরসভার রাজনীতি টিকিয়ে রেখেছে শিষাণ। শিষাণ ভাই যেমন নৌকা প্রত্যাশী আমরাও তেমন প্রত্যাশী শিষাণ ভাই নৌকা পাবেন।
তারা আরোও বলেন, জলিল ভাইয়ের সময় কেউ মনোনয়ন চাননি। তার ছেলের সময় একাধিক প্রার্থী, কিন্তু কেন? আপনাদের কাছে প্রশ্ন রেখে বক্তারা বলেন, আজকে আমরা নৌকাকে বিজয়ী করার লক্ষ্যে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমরা শিষাণ ভাইকে বিজয় না করে ঘরে ফিরবো না। আমরা আগে যেমন আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বিজয়ী করেছি, শিষাণ ভাইকেও ঠিক তেমন ভাবে জয়ী করবো।
পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী দেওয়ান ছেকার আহমেদ শিষাণ বলেন, ১৮ বছর ধরে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছি। আমাকে বারবার বঞ্চিত করা হয়েছে আমার কাঙ্খিত চাওয়া থেকে। জলিল ভাই আমাকে ভালোবাসতেন, কিন্তু এখন যে সব নেতা হয়েছে তারা শুধু আমাকে নিয়ে খেলা করেছে। আমি কিন্তু সেই জায়গায় আছি, আর যারা আমাকে নিয়ে খেলা করেছে তাদের কি অবস্থা।
তিনি বলেন, আপনারা সকলেই নিজেকে শিষাণ মনে করবেন। যেই নেতা আমাদের মতো লোককে তাচ্ছিল্য করে, তাহলে সাধারণ কর্মীরা গেলে কি অবস্থা। আপনারা আমার কাছে আসবেন, আমার কোনো ব্যক্তিগত চাহিদা নেই, আমার চাহিদা আপনাদের নিয়ে। আপনারা শুধু আমার জন্য দোয়া করবেন, নেত্রী যেন আমাকে নমিনেশন দেন। আমি শুধু একটি বার নির্বাচন করবো। যোগ্যতা দিয়ে জিততে না পারলে আর কোনোদিন মনোনয়ন চাইবো না। আর আপনারা আমার জন্য ভোট করবেন, সার্বিক নিরাপত্তা আমি দিবো।