নওগাঁর বদলগাছীর গ্রামে লেগেছে শহরের ছোঁয়া


  নওগাঁ প্রতিনিধি: নওগাঁর বদলগাছি উপজেলার ঐতিহ্যবাহি ইউনিয়ন পরিষদ কোলা ইউনিয়ন পরিষদ। বর্তমান সরকারের ভিশনকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহিনুর ইসলাম স্বপন। বিগত সময়ে যে উন্নয়নের ছোঁয়া এই পরিষদের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে স্পর্শ করেনি চেয়ারম্যান স্বপনের নেতৃত্বে দায়িত্ব পাওয়ার গত ২বছরে সরকারের উন্নয়নকে পৌছে দিচ্ছেন গ্রামগুলোতে। উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখতে রাত-দিন পরিশ্রম করছেন তিনি।

 

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, এই পরিষদের আওতায় রয়েছে ২৩টি গ্রাম। যে গ্রামগুলো বিগত সময়ে ছিলো অনুন্নত। রাতে রাস্তার পাশ দিয়ে জ্বলতো না কোন আলো। মেঠো পথ দিয়ে বর্ষা মৌসুমে কাঁদার মধ্যে দিয়ে পথ চলতে হতো। জনমুখর কোন স্থানে বিকেলে বসার মতো কোন জায়গা ছিলো না। গ্রামগুলোতে পানি নিষ্কাশনের জন্য ছিলো না কোন ড্রেনেজ ব্যবস্থা।

কিন্তু বর্তমানে প্রায় প্রতিটি গ্রামের রাস্তায় লেগেছে আধুনিকতার ছোঁয়া। সন্ধার পর রাস্তার স্টিট লাইটের আলোয় আলোকিত হচ্ছে গ্রামের মেঠোপথগুলো। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে নৃত্বাত্তিক গোষ্ঠির গ্রামে স্থাপন করা হয়েছে মটর আর পানির বড় একটি ট্যাংক। যার মাধ্যমে ১টি ক্ষুদ্র নৃত্বাত্তিক গোষ্ঠির সদস্যরা হাত বাড়ালেই সহজেই পাচ্ছেন সুপেয় পানি। এই সব কিছুই সম্ভব হয়েছে চেয়ারম্যান স্বপনের একনিষ্ট প্রচেষ্টার কারণে।

 

গত ২বছরের মধ্যে চেয়ারম্যান সকল মেম্বারদের সহযোগিতা নিয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় চলতি এবং গত অর্থ বছরে প্রায় ৩হাজার ফিট

রাস্তায় সিসি ঢালায়, দেড় হাজার ফিট রাস্তায় ইট সোলিং, ৭শত জন অসহায় ও দু:স্থদের মাঝে বিতরণ করেছেন বিভিন্ন প্রকার ভাতা কার্ড, দেড় হাজার ফিট পানি নিষ্কাষণের জন্য আধুনিক মানের ড্রেন নির্মাণ করেছেন। জেলার দ্বিতীয় বৃহত্তম হাট কোলা হাট ও ভান্ডারপুর হাটে দৃশ্যমান অবকাঠামোগত উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। এছাড়াও আরো শতাধিক উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ডের কাজ চলমান রয়েছে। বর্তমান সরকারের ভিশন গ্রামকে শহরের সুবিধা প্রদান করার প্রতিশ্রুতি অনেকটাই বাস্তবায়ন করা হয়েছে এই ইউনিয়নে। তাই আগামীতেও এই ধরনের ক্লিন ইমেজের জনপ্রতিনিধিকে নির্বাচন করতে চান এই ইউনিয়নের সাধারন মানুষরা।

 

ক্ষুদ্র নৃত্বাত্তিক লালুহার গ্রা

মের বাসিন্দা ব্রজেন বলেন প্রায় ৩০বছর যাবত আমাদের এই গ্রামের কোন উন্নতি হয়নি। কোন মেম্বার কিংবা চেয়ারম্যান কখনোও নজর দেয়নি। কিন্তু বর্তমান মেম্বার ও চেয়ারম্যানের কারণে আজ আমরা ১০টাকার বিনিময়ে সারা মাস সুপয়ে পানি পাচ্ছি। এটি আমাদের জন্য যুদ্ধ জয়ের মতো আনন্দ।

একই গ্রামের রেনুকা বালা বলেন আগের সময়ে ইউনিয়ন পরিষদে কোন কাজ নিয়ে গেলে মেম্বার ও চেয়ারম্যানরা পাত্তাই দিতো না। কিন্তু স্বপন চেয়ারম্যানের কাছে যে কোন কাজ নিয়ে গেলে সবার আগে তিনি আমাদের কাজগুলো করে দেন। আর বর্তমানে প্রায় ১শত জন ক্ষুদ্র নৃত্বাত্তিক জনগোষ্ঠির এই গ্রামে কেউ কোন ভাতার সুবিধা থেকে বি ত নয়। উন্নয়নের এই ধারাকে অব্যাহত রাখার জন্য আগামীতেও আমরা এই চেয়ারম্যান ও মেম্বারদেরই চাই।

কেশাইল, খামার আক্কেলপুর গ্রামের আব্দুল জব্বার, সবেদুল ইসলামসহ অনেকেই বলেন আগে বর্ষা মৌসুমে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে চলতে পারতাম না। হাটু কাঁদা মাড়িয়ে চলাচল করতে হতো। কিন্তু সেই রাস্তাগুলোতে এখন ইট বিছিয়ে দিয়েছে চেয়ারম্যান। আবার কোন রাস্তায় সিসি ঢালাই দিয়েছেন। এচঅড়াও পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। রাতের বেলায় রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে স্টিট লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা বর্তমানে অনেকটাই শহরের সুবিধা গ্রামে পেতে শুরু করেছি।

কোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হারুনুর রশিদ বলেন সবচেয়ে ভালো লাগার বিষয় চেয়ারম্যান স্বপন পরিষদে যে কোন বরাদ্দ কিংবা কাজ এলে মেম্বারদের নিয়ে প্রথমে তিনি পরামর্শ করেন। এরপর সমন্বয় করে কাজগুলো ভাগ করে দেন। বিগত সময়ে এই ইউনিয়নের আওতায় এই ধরনের কাজ কখনোই বাস্তবায়ন করা হয়নি। তাই বর্তমান চেয়ারম্যানের নিদের্শনা ও সহযোগিতায় আমরা মেম্বাররা নিজ নিজ এলাকায় উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে কাজ করে যাচ্ছি।

 

কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) শাহিনুর ইসলাম স্বপন বলেন এই ইউনিয়নকে বদলগাছী উপজেলার মধ্যে একটি মডেল ইউনিয়নে পরিণত করতে চাই। মডেল ইউনিয়ন হিসেবে গঠন করতে যা যা করার প্রয়োজন আমি সবার সহযোগিতা নিয়ে করতে চাই।

বর্তমান সরকারের ভিশনকে দৃশ্যমান করতে ও বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে আমি এই ইউনিয়নের একজন সামান্য সেবক হয়ে কাজ করতে চাই। দল ও এলাকাবাসী যদি আমাকে সুযোগ দেয় তাহলে আমি আবারো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সরকারের উন্নয়নের ধারাকে প্রতিটি গ্রামের প্রতিটি ঘরের দুয়ার পর্যন্ত পৌছে দিয়ে এই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে চাই। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে গ্রামের অবকাঠামোগত উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই।

 

আর সেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে স্থানীয় পর্যায়ে ইউনিয়ন পরিষদের একজন স্বচ্ছ, নির্ভিক ও বলিষ্ট মানের জনপ্রতিনিধির প্রয়োজন বলে মনে করেন সচেতন মহল।