নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের পৃথক দু’টি স্থানে পানিতে ডুবে দুই সহোদর ও দুই চাচাতো ভাই-বোনের মৃত্যু হয়েছে। এর একটি ঘটনা ঘটে সিংড়ার বারনই নদীতে এবং অপরটি নলডাঙ্গার হালতিবিলে। নাটোরের নলডাঙ্গার হালতিবিলে নৌকা ভ্রমনের সময় ১৭ যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবির ঘটনা ঘটে। এসময় নৌকার ১৫ যাত্রী তীরে উঠতে পারলেও পানিতে তলিয়ে গিয়ে সাদমান আব্দুল্লাহ ও আব্দুর রহমান নামে দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যার পর হালতিবিলের খোলাবারিয়া গ্রাম এলাকায় এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুই শিশু লালপুর উপজেলার আড়বাব ইউনিয়নের আড়বাব গ্রামের আরিফুল ইসলামের দুই ছেলে।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম ও স্থানীয়রা জানান, নৌকা রিজার্ভ (ভাড়া) করে ১৭ জন নারী,পুরুষ ও শিশু হালতি বিলে ভ্রমন করছিল। ভ্রমনের শেষ সময়ে ফিরে আসার পথে হালতি বিলের মধ্যে বিদ্যুতের খুঁটির টানা দেওয়া তারের সঙ্গে নৌকার ধাক্কা লেগে নৌকাটি উল্টে যায়।
এ সময় অন্য নৌকার যাত্রী ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় যাত্রীরা সাঁতার কেটে খোলাবাড়িয়া মাদ্রাসায় আশ্রয় নিলেও আরিফুল ইসলামের দুই শিশু সন্তান পানিতে ডুবে যায়। পরে স্থানীয়রা পানিতে খোঁজাখুজি করে শিশু দুইটিকে উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে নাটোরের সিংড়ায় নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ শিশু ফাতেমা ও সবুর নামে দুই ভাই বোনের মরদেহ ৪ ঘন্টা পর উদ্ধার করে ডুবুরী দল। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার হাতিয়ানদহ ইউনিয়নের উলুপুর গ্রামের বারনই নদীতে এই দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত দুই শিশু একই এলাকার সাইফুল ইসলামের মেয়ে ফাতেমা ও সাহাদ ইসলামের ছেলে সবুর। শিশুরা দু’জন সম্পর্কে চাচাতো ভাই ও বোন।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ও স্থানীয়রা জানান, ৫ বছর বয়সী ফাতেমা ও ৯ বছর বয়সী সবুর তাদের বাড়ী সংলগ্ন বারনই নদীতে অন্যদের সাথে গোসল করতে নামে। এ সময় নদীর পােিনতে ফাতেমাকে ডুবে যেতে দেখে ভাই সবুর তাকে বাঁচাতে গিয়ে সেও পানীর ¯্রােতে ডুবে যায়। ঘটনাটি আশেপাশের লোকজনের মুখে শুনতে পেয়ে পরিবারের লোকজন সহ স্থানীয়রা নদীতে খোঁজাখুজি শুরু করেন। কিন্তু তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়না।
পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাজশাহীর ফায়াস সার্ভিসের ডুবুরী দলকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ডুবুরী দল প্রায় এক ঘন্টার চেষ্টায় ঘটনাস্থলের কিছু দুর থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।