নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁ নিয়ামতপুরে মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন ও থানায় অভিযোগের প্রতিবাদে সম্মেলন করেছেন একটি পরিবার। বুধবার(২৫ অক্টোবর) সকালে নিয়ামতপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যম-কর্মীদের উপস্থিতিতে ন্যায় বিচারের আবেদন জানান ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তাফার পরিবার।
লিখিত বক্তব্যে গোলাম মোস্তফা(৬২) বলেন, ১৩ বছর পূর্বে উপজেলার হাজিনগর ইউনিয়নের উপরকুড়া গ্রামের হযরত আলীর মেয়ে শওকত আরার সাথে আমার তৃতীয় ছেলে রবিউলের বিয়ে হয়। তাদের একটি করে ছেলে ও মেয়ে সন্তান রয়েছে। আমাদের পারিবারিক একখন্ড জমিকে কেন্দ্র করে ছেলে, ছেলের শ্বশুর হযরত আলী ও পুত্রবধু মিলে পরিবারের সদস্যদের মাঝে দ্বন্দ্ব তৈরির চেষ্টা করেন।
তিনি বলেন, গত ১৭ই অক্টোবর পুত্রবধূকে মারধরের কারণে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন আমার বেহাই। অভিযোগে আমি সহ আমার স্ত্রী, দুই ছেলে, দুই পুত্রবধূ, এক নাতি, জামাতা ও এক বেয়াই বেটার নাম রয়েছে। অভিযোগের ঘটনায় কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ পায়।
অভিযোগে এও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২ অক্টোবর মারধরের কারণে পুত্রবধূর গর্ভে থাকা সন্তান নষ্ট হয়ে যায়। যা নিয়ে বিয়াই আরেকটি অভিযোগ করেছিলেন শিবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে। সে অভিযোগ সকলের উপস্থিতিতে মীমাংসা হয়ে যায়। অনাকাঙ্খিতভাবে আমার পুত্রবধূর গর্ভে সন্তান চলে আসায় আমার ছেলে ও পুত্রবধূ সন্তান নষ্টের সিদ্ধান্ত নেয়।
গত মাসের ২০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে সন্তান নষ্টের জন্য ওষুধ সেবন করে। আশানুরূপ কাজ না হয় ২৯ সেপ্টেম্বর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে পরের দিন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে আসে।
অথচ ঘটনাটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ১৬ অক্টোবর পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা কাটাকাটি হলে হীন উদ্দেশ্যে আমাদের ফাঁসানোর জন্য পুত্রবধূ আবারও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হোন। পরের দিন বেহাই অভিযোগ দায়ের করেন। আমার বেহাই এলাকায় একজন মামলাবাজ মানুষ হিসেবে পরিচিত।
এই ঘটনায় কয়েকটি গণমাধ্যমে যাচাই-বাছাই ছাড়াই সংবাদ প্রকাশিত হয়। যাহা সম্পন্ন ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
এ বিষয়ে হযরত আলী বলেন, আমার মেয়ের সন্তান নষ্টের বিষয়ে মেডিকেলে ভর্তি হয়েছিল কিনা সেটি আমার জানা নেই তবে ১৬ অক্টোবর আমার মেয়েকে মারধর করায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।