আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য হবে এ আশ্বাস দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশে নির্বাচন যতটুকু স্বচ্ছ হচ্ছে তা আওয়ামী লীগেরই আন্দোলনের ফসল। বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে তা দিয়ে পাঁচ মাসের বৈদেশিক বাণিজ্যের খরচ মেটানো সম্ভব। বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হবে না।
গণভবনে আজ শনিবার অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আগামী মাস থেকে দেশের মানুষের হয়তো আর কষ্ট থাকবে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বব্যাপী সংকট দেখা দিয়েছে। আগামী মাস থেকে হয়তো এই কষ্ট আর থাকবে না। তারপরও তেল ও পানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সাশ্রয়ী ও মিতব্যয়ী হতে হবে। কারণ সারা বিশ্বে অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দিয়েছে, তার প্রভাব থেকে আমরা কিন্তু মুক্ত না। এজন্য যে যার জমিটুকু কাজে লাগান। ছাদ বাগানসহ নানাভাবে উৎপাদন করেন। নিজেদের খাদ্য নিজেরা উৎপাদন করতে পারলে ওই দুর্ভিক্ষের আঁচ বাংলাদেশে লাগবে না।
বাংলাদেশ কখনো ঋণখেলাপি হবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি রিজার্ভ রেখে গিয়েছিল মাত্র দুই দশমিক নয় বিলিয়ন ইউএস ডলার। যা দিয়ে তিন মাসের খাবার বা আমদানি করার পয়সা হতো না। ২০০৮ এ যখন আমরা ক্ষমতায় আসি তখন রিজার্ভ পাঁচ বিলিয়নের বেশি ছিল না, সেখান থেকেও ৪৮ বিলিয়ন পর্যন্ত তুলতে সক্ষম হয়েছিলাম। তাছাড়া আমাদের যে লোন, তিন মাসের আমদানি খরচ হাতে রেখেই আমরা অন্য কাজ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ নিয়ে তো খুব আলোচনা, আমরা কী করেছি? আমাদের জ্বালানি তেল কিনতে হয়েছে। তেল, গম, ভুট্টা, খাদ্যশস্য কিনেছি। করোনার টিকা স্পেশাল বিমান পাঠিয়ে কিনে এনেছি। চিকিৎসায় হাসপাতাল ডেডিকেটেড করেছি। বিনা পয়সায় চিকিৎসা নিশ্চিত করেছি। ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিবার থেকে আলাদা করে বাসা ভাড়া করে রেখেছি। যেন তারাও অসুস্থ না হয়, পরিবারও আক্রান্ত না হয়। ঝুঁকি নিয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়ায় তাদের আলাদা করে একটা ভাতা দিয়েছি।
একদিনে শত রাস্তা-সেতু উদ্বোধন করার প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একদিনে শত রাস্তা ও সেতু উদ্বোধন করতে পেরেছি। এটা কি বিএনপি করতে পেরেছে? নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করেছি। করোনায় ব্যবসা বাণিজ্য যথারীতি যেন চলে, সেজন্য প্রণোদনা দিয়েছি। অভাবীদের খাদ্য ও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। অতিমারির সময় আমদানি বন্ধ থাকায় পরে কাঁচামাল কিনতে হয়েছে। এগুলো আমাদের রিজার্ভ থেকে খরচ করতে হয়েছে।