
স্থানীয় সুত্রে যানা যায়, ইউএনও ফারুক সুফিয়ান নির্ধারিত বাসভবনের ভিতরের প্রায ৫০ বছের পুরাতন বিশাল আকৃতির একটি গাব গাছ দিনেদুপুরে কেটে রাতের অন্ধকারে বাইরে বিক্রি করতে গেলে বিষয়টি স্থানীয়দের দৃষ্টিগোচর হয়। এর-ই মধ্য কোন কিছুর তোয়াক্কা না করে ইউএনও’র পরিত্যক্ত বাসভবনটি নির্বাহী আদেশে বিভিন্ন খাতের বরাদ্দকৃত সরকারি অর্থে বার বার সংস্কার করে সরকারের নির্ধারিত মাসিক ভাড়া ফাঁকি দিয়ে ওই পরিত্যক্ত বাসায় এখনো স্ব-পরিবারে বসবাস করছেন নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ান।
ইউএনও অফিস সূত্রে যানা যায়, গত ২৩ জুলাই ইউএনওর বাস ভবন ও উপজেলা পরিষদ হলরুম (স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স রোড) পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়। এছাড়াও কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ উঠেছে।
নাম না প্রকাশে একজন সুশীল সমাজের নেতা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত নিয়ামতপুরে জনবান্ধন অফিসার দেখে আসছি। কিন্তু এই ইউএনও ফারুক সুফিয়ান স্যার আসার পর থেকে এখনও কারও সাথে জনপ্রতিনিধি, সুশীল সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ সমাজসেবক কারও সাথে সুসম্পর্ক গড়ে উঠেনি। অথচো নিয়ামতপুরের মানুষ অফিসারবান্ধব এবং আতিথিয়েতা পরায়ন।
পাড়ইল ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মুজিব গ্যান্দা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আবাসন প্রকল্প ঘর বানানোর স্থান নিয়ে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কোন সমন্বয় ছাড়া নিজের মন মত জায়গা নির্বাচন করছেন, সেখানে উপকার ভোগীরা থাকতে ইচ্ছুক নয়। উপকার ভোগী ইউএনও এর সাথে বাড়ির বিষয়ে কথা বলতে গেলে অসৌজন্যমূলক আচরণ করে।
ভাবিচা ইউপি চেয়ারম্যান ওবায়দুল হক বলেন, আইনশৃঙ্খলা ও মাসিক সমন্বয় সভা বর্জন করার পর ইউএনওর কোন মিটিংয়ে নির্বাচিত জন-প্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যানগণ অংশগ্রহণ করেননি।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারুক সুফিয়ান সাথে কথা হলে তিনি জানান, পরিত্যক্ত ভবনে আমি আছি আমার সমস্যা আমি বুঝব এবং সরকারি কোনো অর্থ ওই ভবনে খরচ করা হয়নি,আমার নিজস্ব অর্থায়নে খরচ করেছি ।আমার বসবাসের স্বাধীনতা আমার এই বলে এড়িয়ে যান। চেয়ারম্যানগনের মিটিং এর বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যানগন কেনো মিটিংয়ে অনুপস্থিত থাকে সেটা আমি জানিনা বলে এড়িয়ে যান তিনি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক খালিদ মেহেদী হাসান (পিএএ) জানান, ইউএনও সম্পর্কে সবকিছুই শুনেছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।