মাঠে ছন্দময় ফুটবলের সঙ্গে আরেকটি জিনিস উপহার দেয় ব্রাজিল। সেটা হলো নানা ভঙ্গিতে উদযাপন। গোলের উৎসব যে কত ভঙ্গিতে উদযাপন করা যায়, সেটি দেখিয়ে দেন সেলেসাওরা। কাতার বিশ্বকাপ এখন পর্যন্ত ব্রাজিলের মতো এমন বাহারি উদযাপন দেখায়নি কেউ। সেই উদযাপন নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন, সাবেক ম্যানইউ মিডফিল্ডার রয় কিন। তবে ব্রাজিল তারকা ভিনিসিউস নিশ্চিত করেছেন, তাঁরা শুধুমাত্র আনন্দ দিতেই এমন উদযাপন করে থাকেন।
গত সোমবার দিবাগত কাতারের স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিল-দক্ষিণ কোরিয়া। ম্যাচটিতে দক্ষিণ কোরিয়াকে নাস্তানাবুদ করে ৪-১ গোলে হারায় ব্রাজিল। ম্যাচটিতে প্রতিটি গোলের পর খেলোয়াড়েরা যে উদযাপন করেছিল, তা এক কথায় অনন্য! কখনও নিজেরা, কখনও কোচ তিতেকে নিয়ে চলেছে সে উদযাপন।
যা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে আজ তার জবাব দেন ভিনি। সংবাদ সম্মেলনে ভিনি বলেছেন, ‘নিঃসন্দেহে কিছু লোক অভিযোগ করতে ভালোবাসে যখন তারা অন্যদের সুখে দেখতে পায়। আমরা ব্রাজিলিয়ানরা আনন্দ করতে ভালোবাসি, সুতরাং এটা সবসময় মানুষকে বিরক্ত করবে। ফুটবলে গোল হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত, আর বিশ্বকাপে তো আরও গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং এই আনন্দের মুহূর্ত শুধু আমাদের, খেলোয়াড়দের জন্য নয়, আমাদের পুরো দেশের জন্য।’
রিয়াল মাদ্রিদ তারকা জানালেন, তাদের আরও অনেক উদযাপন এখনো বাকি। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের আরও অনেক উদাযাপন বাকি আছে। তাই আমাদের আরও ভালো খেলে যেতে হবে, জিততে হবে এবং আনন্দে থাকতে হবে।’
গত সোমবার প্রথমার্ধের ৬ মিনিটে ব্রাজিল স্ট্রাইকার ভিনিসিয়াস জুনিয়রই করেছিলেন প্রথম গোল। জালে বল জড়াতেই উদযাপন শুরু। কাতার বিশ্বকাপে ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে যে উদযাপন। সতীর্থদের কাঁধে হাত দিয়ে গোল হয়ে, একসঙ্গে পা দুলিয়ে উদযাপন। সঙ্গে গানের কোরাস। যেন ফুটবল মাঠে সাম্বার ঐতিহ্যকে মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন নেইমাররা। এরপর প্রতিটি গোলেই নেচে-গেয়ে উদযাপন করেন ব্রাজিল তারকারা।
আগামী ৯ ডিসেম্বর রাত ৯টায় কাতারের এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হবে ব্রাজিল।