মো: পাভেল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছে ২০১৬ সালে ৫ মার্চ। ওই সম্মেলনে রমজান আলীকে সভাপতি এবং মোশাররফ হোসেন বাচ্চুকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। পরে ১১১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্র। তিন বছরের এ কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ২০১৯ সালের ৫ মার্চ। এরপর আরও তিন বছর অতিবাহিত হলেও সম্মেলন হয়নি। এ নিয়ে দলটির তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে রয়েছে চরম অসন্তস। তারা চাইছেন দ্রুত সম্মেলন দিয়ে মহানগর যুবলীগকে পুনর্গঠিত করতে।
তবে চলতি মাসের মধ্যে এ সম্মেলন হতে পারে বলে কেন্দ্র থেকে আভাস দিয়েছে। ফলে গুরুত্বপূর্ণ পদ পেতে ইতোমধ্যে মাঠে নেমে পড়েছেন হাফ ডজন খানেক নেতা। তাদের দৌড়ঝাঁপে এখন চাঙ্গা নগর যুবলীগ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ১৮ এপ্রিল রাজশাহী মহানগর যুবলীগের শীর্ষ দুই পদে যাঁরা বসেছিলেন ১৮ বছর পরও তাঁরা বহাল রয়েছেন। ফলে পুরনো কমিটিতে সংগঠন কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
নানা বিতর্কের মধ্যে কেটে গেছে রমজান-বাচ্চুর কমিটির মেয়াদ। সূত্রমতে, সর্বশেষ ১১১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে সভাপতি রমজান আলী তার ছেলে রায়হানুর রহমান রয়েলকে সাংগঠনিক সম্পাদক করেন। এ নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে পরে রয়েলকে বহিষ্কার করা হয়। শীর্ষ পদে না থাকলেও সংগঠনটিকে চাঙ্গা করে রেখেছেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি। তার নেতৃত্বে সক্রিয় নেতাকর্মীরা।
ফলে এবারের সম্মেলনে সভাপতি পদে শুধু রনির নামই শোনা যাচ্ছে। তিনি এবার ওই পদে একক প্রার্থী হতে পারেন। তবে সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে দৌড়ঝাঁপে রয়েছেন হাফ ডজন নেতা। যাদের মধ্যে সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নাহিদ আক্তার নাহানকে এগিয়ে রাখছেন অনেকে। এ ছাড়া আছেন বর্তমান সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন এবং মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জেডু সরকার। মহানগর যুবলীগের অর্থ সম্পাদক সৈয়দ জাফর মতিন রাজিব বলেন, ‘সংগঠনে প্রায় অস্তিত্বহীন দুই নেতার অবসান দেখতে চাই আমরা।
দ্রুত সম্মেলন হলে আবারও প্রাণ ফিরে আসবে সংগঠনে। মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুকুল শেখ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে সম্মেলন না হওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীরা অনেকটা হতাশ হয়ে পড়েছেন। নতুন নেতৃত্ব পেলে তৃণমূল আবারও চাঙ্গা হবে। যুবলীগ নেতা নাহিদ আক্তার নাহান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে কমিটি না হওয়ায় সংগঠনটি প্রায় স্থবির হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত সম্মেলন দরকার। মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক তৌরিদ আল মাসুদ রনি বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে সম্মেলন না হওয়ায় নেতাকর্মীদের মধ্যে যে হতাশা তৈরি হয়েছে, সেটি আর থাকবে না। আমরা সবাই মিলে তখন সংগঠনটিকে এগিয়ে নিয়ে যাব।
বক্তব্য নেয়ার জন্য একাধিকবার ফোন দিয়েও রিসিভ করেননি রাজশাহী মহানগর যুবলীগের সভাপতি রমজান আলী। একাধিক বার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি দলটির সাধারণ সম্পাদক মাশাররফ হোসেন বাচ্চুকে। ফলে সংগঠন নিয়ে তাদের বক্তব্য জানা যায়নি। তবে এ নিয়ে সম্প্রতি এক গণমাধ্যম কর্মীকে দেয়া সাক্ষাতকারে রমজান আলী বলেছিলেন, ‘সম্মেলন হওয়াটা দরকার। আমরাও চাইছি সম্মেলন করে নতুনদের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে। কিন্তু কেন্দ্র থেকে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত না আসায় সেটি করতে পারছি না। ওয়ার্ড পর্যায়েও নেতাকর্মীরা নতুন নেতৃত্ব চাইছেন।