নেদারল্যান্ডসে পুলিশের সঙ্গে করোনা প্রতিরোধে আরোপিত লকডাউন বিরোধীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রচণ্ড শীতের মধ্যেও রাজধানী আমস্টারডামের এ সংঘর্ষের এক পর্যায়ে জলকামান ব্যবহারে বাধ্য হয় পুলিশ।
আমস্টারডামের ভ্যান গগ মিউজিয়াম চত্বরে লকডাউন টিকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে দুই হাজারের মতো বিক্ষোভকারী জমায়েত হয়। এসময় অনেকের হাতে ধরা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘কোভিড ভ্যাকসিন= বিষ’।
একইসঙ্গে করোনা ঠেকাতে সরকার যে কড়া লকডাউন চালু করেছে, তারও প্রতিবাদ জানায় তারা। এসময় বিক্ষোভকারীরা সামাজিক দূরত্ব রাখেননি। তাদের মুখে মাস্কও ছিল না। যদিও এই বিক্ষোভে পুলিশের অনুমতি ছিল না।
আমস্টারডাম নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা জানিয়েছে বিক্ষোভ দেখাতে হলে ওয়েস্টারপার্ক এলাকায় যেতে হবে এবং সেখানে ৫০০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী থাকতে পারবে না। আমস্টারডামের স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন যে পরিস্থিতি চলছে, তাতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক ঝুঁকি রয়েছে। এখন নিয়ম মেনে চলতে হবে। বিক্ষোভকারীরা নিয়ম মানেনি।
স্থানীয় সংবাদপত্রের খবরে বলা হয়েছে, বিক্ষোভকারীরা জমায়েত হলে পুলিশ তাদের চলে যেতে বলে। কিন্তু তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে পাথর মারতে থাকে। পরে পুলিশ জলকামান নিয়ে আসে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জলকামান চালানো হয়। বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে।
তহবিল কেলেঙ্কারির দায়ে দুই দিন আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দেয় প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটের নেতৃত্বাধীন নেদারল্যান্ডস সরকার। তার সরকার বর্তমানে দেশটিতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসন পরিচালনা করছে। অন্তর্বর্তী সরকারের মন্ত্রীরা যখন কারফিউ ঘোষণা নিয়ে বৈঠক করছিলেন, তখনই ভ্যাকসিন ও করোনা বিধিনিষেধের প্রতিবাদে রাজপথে নামে বিক্ষোভকারীরা।
করোনা প্রতিরোধে নেদারল্যান্ডসে গত ডিসেম্বর থেকেই সব স্কুল, কলেজ বন্ধ। সম্প্রতি লকডাউনের মেয়াদ আরও তিন সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারস জানিয়েছে, নেদারল্যান্ডসে এখন পর্যন্ত ৯ লাখ ১২ হাজার ৫৫৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ১৩ হাজার ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলে।