পত্নীদের ফেসবুক স্ট্যাটাস, ক্রিকেটারদের সতর্ক করবে বিসিবি


ছবি- সংগৃহীত

আগামী ৩০ আগস্ট থেকে শুরু হবে এশিয়া কাপের আসর। ওয়ানডে ফরম্যাটের আসন্ন এই টুর্নামেন্টকে সামনে রেখে সাকিব আল হাসানকে অধিনায়ক করে ১৭ সদস্যের দল ঘোষণা করে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তবে ঘোষিত এই দলে জায়গা পাননি অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর থেকেই রিয়াদের বাদ পড়া নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

গত শনিবার এশিয়া কাপের দল থেকে রিয়াদকে বাদ দেওয়ায় ফেসবুকে প্রতিবাদী প্রতিক্রিয়া দেন মুশফিকুর রহিমের স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়াত মন্ডি ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের স্ত্রী জান্নাতুল কাওসার মিষ্টি। এশিয়া কাপের দল থেকে রিয়াদের বাদ পড়াকে অবিচার আর অবহেলা হিসেবে দেখছেন তারা দুই বোন। এরপর এই দুই স্ট্যাটাস নিয়ে ভক্তদের পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনায় ফেসবুক সরগরম হয়ে ওঠে।

সূত্র জানিয়েছে, বিসিবি, জাতীয় দল, জাতীয় নির্বাচক প্যানেল বা খেলোয়াড়দের সুনাম ক্ষুণ্ন করে বা বিরুদ্ধে যায় প্রকাশ্যে এমন কোনো মন্তব্য করা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিতে পারবেন না চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটার এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা। এই শর্ত মেনে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা কেন্দ্রীয় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ক্রিকেটাররা চুক্তির শর্ত মানলেও মানছেন না তাদের স্ত্রীরা। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তারকা ক্রিকেটারদের পত্নীরা ফেসবুকে প্রতিবাদী হচ্ছেন।

মুশফিকের স্ত্রী মন্ডি ও রিয়াদের স্ত্রী মিষ্টি এই প্রথম বিসিবিকে ইঙ্গিত করে স্ট্যাটাস দেননি। বোর্ড বা নির্বাচকদের কোনো সিদ্ধান্ত নাখোশ হয়ে আগেও স্ট্যাটাস দিয়ে বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তারা। ফলে জাতীয় দলের দুই সিনিয়র ক্রিকেটারের স্ত্রীদের স্ট্যাটাস বিসিবির বিপক্ষে গিয়েছে বলে মনে করছেন। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারদের সতর্ক করার পক্ষে বোর্ড।

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় পিছিয়ে নেই সাকিবের স্ত্রী উম্মে আহমেদ শিশিরও। যদিও তিনি বিসিবি, জাতীয় দল নির্বাচকদের বিরুদ্ধে স্ট্যাটাস দেননি। তিনি স্বামীর প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিকেটারকে ইঙ্গিত করে পরোক্ষে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন। তারকা ক্রিকেটারদের স্ত্রীদের এ ধরনের স্ট্যাটাস বিব্রতকর এবং শৃঙ্খলা পরিপন্থী বলে অভিহিত করেন বিসিবির একাধিক পরিচালক। ক্রিকেটাররা মনঃক্ষুণ্ন হতে পারেন বলে প্রকাশ্যে মন্তব্য করতে রাজি হননি পরিচালকদের কেউ।

নাম গোপন রাখার শর্তে বিসিবির একজন পরিচালক দেশের জাতীয় এক দৈনিককে বলেন, ‘যেহেতু চুক্তিতে একটি শর্ত রয়েছে এবং খেলোয়াড়রা তা জানেন। মৌখিকভাবে হলেও এ ব্যাপারে ক্রিকেটারদের সতর্ক করা হবে। বিষয়টি শৃঙ্খলা বিভাগ দেখবে।’

বিসিবির একজন পরিচালক বলেন, ‘আসলে এ ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সঙ্গে সবাই জড়াচ্ছেন না। আমরা আশা করব, ক্রিকেটাররা তাদের পরিবারের সদস্যদের এ ব্যাপারে সচেতন করবেন। কারণ, বিষয়গুলো কারও জন্যই স্বস্তিকর নয়।’ আসলে ক্রিকেটাররা আন্তরিক না হলে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাবে না।