নেপালের প্রধানমন্ত্রী কে পি শর্মা ওলি নিজ দল কমিউনিস্ট পার্টি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রবিবার কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলিকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। পার্লামেন্ট ভেঙে দেয়ার জেরে রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই দলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী ওলিকে বহিষ্কার করলো।
কমিউনিস্ট পার্টির মুখপাত্র নারায়ণ কাজি শ্রেষ্ঠা বলেন, ‘দলের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে ওলির সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে। ওলি আর দলের সদস্য নন। আমরা অনেক সহ্য করেছি, তিনি আমাদের আহ্বানে সাড়া দেননি। দলের নির্বাহী ক্ষমতাবলেই তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
মূলত ওলির সদস্যপদ খারিজের পেছনে এনসিপির আরেক অংশের নেতা মাধব নেপাল ও পুষ্প কুমার দহল প্রচণ্ডের ভূমিকাই মুখ্য। তাদের অভিযোগ, ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। ওলিকে জবাবদিহি করতে হবে বলে জানান প্রচণ্ড।
এর আগে গত শুক্রবারই ওলির সদস্যপদ বাতিল করার হুমকি দিয়েছিল বিরোধীপক্ষ। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তা বাস্তবায়ন হলো। গত ২০ ডিসেম্বর সংসদ ভেঙে দিয়ে আগামী এপ্রিল এবং মে মাসে ভোটের আহ্বানও জানিয়েছেন ওলি।
তিন বছর আগে নির্বাচনে জয়লাভ করে নেপালে এনসিপি ও প্রাক্তন মাওবাদী বিপ্লবীদের জোট ক্ষমতায় এলে প্রধানমন্ত্রী হন ওলি। পূর্ব শর্ত অনুযায়ী শাসনকালের পাঁচ বছরের মেয়াদ নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নিয়েছিলেন ওলি এবং বিপ্লবী নেতাপুষ্প কুমার দহল ওরফে প্রচণ্ড।
কিন্তু সেই শর্ত উপেক্ষা করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রচণ্ডের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে অস্বীকার করেন ওলি। এই নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চরম মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে ওলি সরকারের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও এনেছেন মাওবাদী বিপ্লবীরা।
এ ছাড়া করোনা মোকাবিলায় সরকারের ব্যর্থতা নিয়েও সরব হয়েছে বিরোধীগোষ্ঠী। একইসঙ্গে ভারতের সখ্যতা উপেক্ষা করে চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি নিয়েও বিরোধীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন ওলি।