টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট পাকিস্তান। এশিয়া কাপের রানার্সআপ পাকিস্তান সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ ম্যাচ সিরিজে ৪-৩ ব্যবধানে পরাজিত হয়। এরপর ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে কিউইদের হারিয়ে শিরোপা জেতে। মোদ্দাকথা মূল আসরের আগে প্রস্তুতিটা ভালোভাবে নিয়েছে পাকিস্তান।
পাকিস্তান দলের অন্যতম স্তম্ভ শাদাব খান। এই তরুণ তুর্কিকে নিয়ে দল থেকে ভক্ত সবাই বেশ আশাবাদী। ব্যাটিং অর্ডারে চার নম্বরে সবচেয়ে বিধ্বংসী তিনি। শাদাব খানকে ৪ নম্বরে খেলানোর পেছনে তিনটি যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
অন্যদের চেয়ে কার্যকরী
চার নম্বরে অন্যান্য ব্যাটারদের চেয়ে শাদাবের ব্যাটিং দলের জন্য স্বস্তিদায়ক। বিশেষ করে মাঝের ওভারগুলোতে যখন উইকেট ধরে রেখে বড় শট খেলার প্রয়োজন হয়, শাদাব সেখানে বেশ কার্যকরী। চারে নেমে খেলা ইনিংসগুলোতে শাদাবের স্ট্রাইক রেট অবিশ্বাস্য, ১৫৬.০৩!
একজন বাড়তি পেসার নিতে পারা
এই মুহূর্তে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণ ঈর্ষণীয়। শাহীন শাহ আফ্রিদি, হারিস রউফ, নাসিম শাহরা লাইন লেন্থ ঠিক রেখে নিয়মিতই ঘণ্টায় ১৪৫ এর বেশি গতি উঠান। যা দলকে এগিয়ে রাখে কিছুটা হলেও। শাদাব খানকে চারে নিয়ে আসলে বাড়তি একজন পেসারের জন্য জায়গা যেমন হবে, শাদাবও তেমনি টপ অর্ডারে ব্যাটিংয়ে ঝড় তুলতে পারবেন।
পিএসলে চার নম্বরে দুর্দান্ত খেলেছেন
শুধু নিউজিল্যান্ড সিরিজে নয়, এর আগে পাকিস্তান সুপার লিগেও একই পজিশনে খেলেন ২৪ বছর বয়সী তারকা শাদাব খান। ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের অধিনায়ক শাদাবের নামের পাশে আছে ৪২ বলে ৯১ রানের অনবদ্য এক ইনিংস। মুলতান সুলতানের বিরুদ্ধে সেদিন আক্ষরিক অর্থেই ঝড় তোলেন তিনি।
বিশ্বকাপে তাই শাদাবকে চার নম্বরে নামালে পাকিস্তান একটু বাড়তি সুবিধা পাবে। সেই সুবিধা কাজে লাগাতে পারলে সম্ভাবনা বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।