
বুধবার (১২ জুলাই) রাতে তাকে প্রত্যাহার করা হলেও বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে প্রত্যাহারের বিষয়টি জানা জানি হয়। এ ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সোনালী ব্যাংক পাবনা রিজিওনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনাটি অবশ্যই দুঃখজনক।
এতে ব্যাংকের গ্রাহকসেবার মান প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। যার কারণে প্রাথমিকভাবে ঘটনাটির সত্যতা পাওয়ায় অভিযুক্ত ম্যানেজার সাইদুল ইসলামকে বুধবার রাতে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ঘটনাটি তদন্তের জন্য তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ঈশ্বরদী পৌর শহরের শেরশাহ রোড পূর্ব টেংরী এলাকার বাসিন্দা ভুক্তভোগী নারী তার বাবার কল্যাণ ট্রাস্টের ফরম সই করাতে দুদিন ধরে সোনালী ব্যাংকে ঘুরছিলেন তিনি ও তার মা। নানা অজুহাতে ফরম সই না করে তাদের হয়রানি করছিলেন ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) মায়ের সঙ্গে ফরম নিয়ে আবারও ব্যাংকে আসেন ওই নারী। ফরম নিয়ে ম্যানেজারের কক্ষে গেলে ফরম সই করার এক পর্যায়ে ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম তাকে কুপ্রস্তাব দেন। এতে রাজি না হলে ফরমে সই করবেন না বলে জানান ম্যানেজার। পরে কৌশলে ফরম সই না করিয়ে চলে যান ওই নারী।
বুধবার আবারও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ব্যাংকে আসেন তিনি। ফরম নিয়ে ম্যানেজারের কক্ষে গেলে পুনরায় কুপ্রস্তাব দেন সাইদুল। বাসায় গিয়ে মোবাইলে ভিডিও কল দিতেও বলেন তিনি।
এ সময় ভাষা সংযত করে কথা বলতে বললে ম্যানেজার উত্তেজিত হয়ে ওঠেন। একপর্যায়ে বাগবিতণ্ডা শুরু হলে ব্যাংকে উপস্থিত লোকজন থামানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতেই ঈশ্বরদী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।