
নিহত আমিরুল ইসলাম উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের ক্ষেতুপাড়া গ্রামের লোহাই প্রামাণিকের ছেলে এবং ক্ষেতুপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস সহকারী ছিলেন। তিনি উপজেলা যুবলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।
নিহতের পরিবার, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ক্ষেতুপাড়া এলাকার আওয়ামী লীগ কর্মী খালেক, ইমু ও মিঠুর সঙ্গে নিহতের পূর্ব বিরোধ চলছিল। সেই বিরোধের জের ধরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমিরুলের ভাই আশরাফকে ধরে মারধর করেন অভিযুক্তরা।
এ খবর শুনে আমিরুল সেখানে গেলে অভিযুক্তরা তাকে সিএনজিতে তুলে নিয়ে গিয়ে কিছু দূরে ফেলে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যান। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সাঁথিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের ভাই আশরাফ আলী মেম্বার বলেন, ওদের সাথে অনেক আগে থেকে শত্রুতা। আমার ভাইকে ওরা তুলে নিয়ে চকপাড়া এসে তিন-চারজন মিলে কুপিয়ে ফেলে রেখে চলে যায়। কয়েক বছর পূর্বে বাজারে চায়ের দোকানে ঝামেলা হয়। বর্তমানে কোনো সমস্যা নেই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাঁথিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুর রহমান বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে আছি। ঘটনার বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি। পরে এ বিষয়ে আপনাদের বিস্তারিত জানানো হবে।