প্রয়াত কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যরাডোনার মরদেহ ‘অবশ্যই সংরক্ষণ’ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন আর্জেন্টিনার একটি আদালত
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে গত মাসে মারা যান ফুটবলের এই মহাতারকা। রাজধানীর পাশে তার শেষকৃত্য হয় ২৬ নভেম্বর।
কিন্তু ঝামেলা সৃষ্টি হয়েছে তার ছেলে-মেয়েদের জন্য। স্বীকৃত পাঁচজনের পাশাপাশি আর ছয়জন তার সম্পত্তি দাবি করেছেন। এদের মধ্যে একজনের নাম মাগালি গিল। ২৫ বছর বয়েসী এই তরুণী বলেছেন, দুই বছর আগে তিনি জানতে পারেন ম্যরাডোনা তার ‘বায়োলজিক্যাল ফাদার’। পিতৃত্ব চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতে ডিএনএ টেস্টের আবেদন করেন।
তবে আদালত বলছে, ‘গিলের আবেদনের প্রেক্ষিতে একটি পরীক্ষা হবে। আর এ জন্য ভারপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর অফিস থেকে ডিএনএ নমুনা পাঠাতে হবে।’
জানা গেছে, ম্যরাডোনার আর্জেন্টিনায় তার চার সন্তানকে স্বীকৃতি দিয়েছিলেন। আরেক জন ইতালিতে।
ডিএনএ’র জন্য কীভাবে নমুনা সংগ্রহ করা হবে, সেটি এখনো স্পষ্ট নয়। ম্যারাডোনার আইনজীবী আগে বলেন, ফুটবলারের ডিএনএ রাখা আছে। মৃত্যুর পর এসবের পাশাপাশি আরও অনেক জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন আগে তার মনোবিদ অগাস্টিন কোসাচভকে দায়ী করা হয়।
আর্জেন্টাইন মিডিয়ার দাবি, প্রায় প্রতি সপ্তাহেই কোসাচভের ক্লিনিকে ব্যক্তিগত কাউন্সেলিং সেশনের জন্য যেতেন ম্যারাডোনা। করোনা আবহে লকডাউনের সময় সেই সেশনগুলো অনলাইনে হয়েছিল।
এ দিকে ম্যারাডোনার পরিবার বলছে, ফুটবলারের চিকিৎসায় গাফিলতি রয়েছে জেনেও কোসাচভ তথ্য লুকিয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ আগে কোসাচভের ক্লিনিক ও বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়।