আমিরের অবসর পাকিস্তান ক্রিকেটে বর্তমানে সবচেয়ে বড় আলোচনার বিষয়। অসময়ে অভিমানে তার অবসর নিয়ে আলোচনায় সরব দেশটির সাবেক ক্রিকেটাররা। দিন দিন এ আলোচনা আরও বাড়ছে। এতোদিন অনেকে কথা বললেও চুপ ছিলেন আফ্রিদি।
এবার আমিরের পাশে দাঁড়িয়ে পিসিবির এক হাত নিয়েছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার ও অধিনায়ক।
আফ্রিদি বলেছেন, কোচিং স্টাফ এবং মোহাম্মদ আমিরের সঙ্গে যা হচ্ছে, তাতে দেশের ক্রিকেটের ঐতিহ্য নষ্ট হচ্ছে। পিসিবির উচিত আমিরের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি মীমাংসা করা। ক্রিকেট বোর্ড হলো খেলোয়াড়দের অভিভাবক। বোর্ডের সবসময় উচিত ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার বিষয়ে খেলোয়াড়দের সঙ্গে আলোচনা করে নেওয়া। যাতে পরিস্থিতি বুঝে দল থেকে বাদ পড়ার আগেই খেলোয়াড় যেন নিজেকে মানসিকভাবে প্রস্তুত রাখতে পারে। আমিরের ইস্যুটি আরেকটু ভালোভাবে সামলাতে পারত পিসিবি। দেশের সম্মানের কথা চিন্তা করে হলেও একসঙ্গে কাজ করা উচিত সবার।
শুক্রবার লাহোরের কাশ্মীর প্রিমিয়ার লিগের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন আফ্রিদি।
আমিরের সঙ্গে মিসবাহ-ওয়াকারের কাঁদা ছোড়াছুড়ির বিষয়ে আফ্রিদি বলেন, আমি মনে করি, সব ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোর্ড চেয়ারম্যান অথবা প্রধান নির্বাচকের কথা বলা উচিত। কোচিং স্টাফদের নয়। সেটি না ঘটায় কোনো কারণ ছাড়াই আমিরের ঘটনা ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। বোর্ডের উচিত আমিরের দুঃখ-কষ্টের বিষয়ে মনোযোগী হওয়া। তার সঙ্গে একান্ত আলাপে ঘটনার সুরাহা করা। এখানে কোচের কথা না বলাই উত্তম।
আফ্রিদি যোগ করেন, ‘আমার খেলোয়াড়ি জীবনেও কোচদের সঙ্গে বোলারদের ঝামেলা হতো। আমার সঙ্গে ওয়াকারের দ্বন্দ্বের বিষয়টি সবারই জানা। আমি মনে করি, এ সমস্যা সমাধানের উপায় একটিই, তা হলো– ভুক্তভোগী খেলোয়াড়দের সঙ্গে বোর্ডের খোলামেলা কথা বলা। এতেই সমাধান আসে।’
প্রসঙ্গত, লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগ খেলে গত বছরের শেষ দিকে হুট করেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান আমির।
দেশে ফিরে আমির জানান, টিম ম্যানেজমেন্ট তথা প্রধান কোচ মিসবাহ এবং বোলিং কোচ ওয়াকারের ব্যবহারে অসন্তুষ্ট হয়ে ফুরিয়ে যাওয়ার আগেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। আমিরের এমন বক্তব্যের জোর সমালোচনা করে মন্তব্য করেন মিসবাহ। দুঃখ প্রকাশ করেন ওয়াকার।