পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়ার পশ্চিমভাগ বাশঁবাড়িয়া মেঘনা ইটের ভাটায় কয়লার পরিবর্তে কাঠের খড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার সকালে ইটের ভাটায় গিয়ে দেখা গেছে ভাটার বিভিন্ন স্থানে কাঠের পালা দেওয়া রয়েছে। তবে সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত বন সম্পদ নষ্ট করে কাঠের খড়ি আনা হয় ইটের ভাটাতে বলে অভিযোগ রয়েছে। নাকের ডগায় কাঠের খড়ি দিয়ে ইট পোড়ানো হলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসন নিরব ভূমিকা পালন করছে।
জানা গেছে, রাজশাহী জেলার পুঠিয়া উপজেলার পশ্চিমভাগ বাঁশবাড়িয়া এলাকায় অবস্থিত মেঘনা ইটের ভাটা। সেই ইটের ভাটার মালিক নাসির উদ্দিন। তিনি র্দীঘ দিন থেকে ইটের ব্যবসা করে আসছে। চলতি বছরের কয়লার দাম বেশি হওয়ায় বিভিন্ন স্থান থেকে বনজ সম্পদ ধংস করে কাঠের খড়ি ক্রয় করে ইটের ভাটা পরিচালনা করছেন। তবে বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানিয়েছে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, এই বছর পুঠিয়া উপজেলায় ১০ থেকে ১১ টি ইটের ভাটায় ইট পোড়ানো হচ্ছে। কয়লার দাম গত বছরে ছিল ১৯ হাজার টাকা টন। কিন্তু এবার কয়লার দাম বেড়ে দারিয়েছে ২৮ হাজার টাকা টন। এই কারণে ভাটা মালিকেরা কয়লার পরিবর্তে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানোর দিকে ঝুকছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় ৩ টি ভাটাতে কয়লা দিয়ে ইট পোড়ানো হচ্ছে। আর বাঁকি গুলো বনজ সম্পদ ক্ষতি করে কাঠ দিয়ে ইট পোড়ানো শুরু করেছে। আর কোন কোন ভাটার মালিক কাঠ ক্রয় করে ভাটায় রাখার পাশাপাশি গোপনে বিভিন্ন স্থানে মজুত করে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
এ ব্যাপারে মেঘনা ভাটার ম্যানেজার মোস্তফা জানান, ভাটায় ইট পোড়ানো শুরু হবে দুই একে। আর ইট পোরানো শুরুতে কাঠ দিয়ে পোরাতে হয়। তাই কিছু কাঠ আনা হয়েছে।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সাথে কথা বলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।