
লাকাবাসী জানায়, সেখানে প্রভাবশালী লোকের ছত্র-ছায়াই ইউপি সদস্য জুয়েল রানা ফসলী জমিতে শ্রেণী পরিবর্তন না করেই চুপি চুপি রাতে রাতে পুকুর খনন করতো। এলাকাবাসী লিখিত অভিযোগ এবং বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় সংবাদের পর থেকে বর্তমানে দিন-রাত সমানে ৩ টি ভেকু মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করে। কিন্তু প্রশাসন জানার পরও অজ্ঞাত কারণে নিরব ভূমিকা পালন করছে। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক রাজস্ব এর স্বাক্ষর জালিয়াতি করে পুকুর খননের জন্য তিনি আটকও হয়েছিলেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ভালুকগাছী ইউনিয়নের বাঁশবাড়ী, পশ্চিমভাগ এবং শুকদেবপুর গ্রামের কৃষকগন। আমাদের বাঁশবাড়ী মৌজার আবাদী (ফসলি) জমিতে বাঁশবাড়ী পশ্চিমপাড়া গ্রামের মোঃ আলাউদ্দীন এর ছেলে ইউপি সদস্য জুয়েল রানা, পুকুর খনন করছেন। আমরা কৃষকগণ তাকে নিষেধ করলেও তিনি কর্ণপাত না করে পুকুর খনন করছেন। উক্ত পুকুরটি খনন করা হলে বাঁশবাড়ী, পশ্চিমভাগ এবং শুকদেবপুর মৌজার ৫০০বিঘা থেকে ৮০০ বিঘা জমিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে।
জলাবদ্ধতার কারণে উক্ত তিনটি গ্রামের ফসলি জমিতে বোরো মৌসুমে কোন ফসল/ধান উৎপাদন হবে না। উক্ত মৌজার জমিতে ফসল বা ধান উৎপাদন না হলে কৃষকগনের অতি মানবেতর জীবন যাপন করতে হবে। পুকুর খননটি বন্ধ করলে অত্র এলাকার কৃষকগণ বিভিন্ন ফসল উৎপাদনে সক্ষম হবে। তাই বিষয়টি সরজমিনে তদন্তপূর্বক পুকুর খনন বন্ধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার অনুরোধ জানান।
এনামুল হক জানান, পুকুর খননের বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মৌখিক এবং ১৬ তারিখে লিখিত অভিযোগ দিলেও রিসিভ কপি দেননি তার কারনে কোন সুফলও পাইনি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে জানালে তিনি বলেন, পুঠিয়া থানার ওসিকে বলেন। থানার ওসিকে জানালেও কোন সুফল পায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ এর মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।