নিজস্ব প্রতিবেদক: পুর্নগঠন ও সংস্কার কাজ শেষে খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল রাজশাহীর উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে উত্তরাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী প্রাচীন প্রতিষ্ঠান খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালের করোনা সেবা কার্যক্রম ও সার্বিক পুর্নগঠন ও সংস্কার কাজ শেষ করে প্রায় এক বছর বিরতির পর পুনরায় তার যাত্রা শুরু হলো। সোমবার দুপুরে হাসপাতালটির শুভ উদ্বোধন করেন রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালের অতীত ঐতিহ্য তুলে ধরে হাসপাতালটিকে রাজশাহী অঞ্চলের গর্ব বলে উল্লেখ করেন। হাসপাতালটিকে সংস্কার ও পুর্নগঠন করে যুগপোযোগী সেবার মান সম্পন্ন করার পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মেয়র মহোদয় চার্চ অব বাংলাদেশের মডারেটর ও খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল রাজশাহীর বোর্ড অব ট্রাষ্টিজের চেয়ারম্যান রাইট রেভারেন্ড স্যামুয়েল সুনীল মানখিন মহোদয়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। একই সঙ্গে খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালটি আগামী দিনগুলিতে বৃহত্তর আঙ্গিকে আরো গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে রাজশাহীবাসীর পাশে দাঁড়াতে পারবে বলে আশা ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চার্চ অব বাংলাদেশের মডারেটর ও ঢাকার বিশপ এবং খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল রাজশাহীর বোর্ড অব ট্রাষ্টিজের চেয়ারম্যান রাইট রেভারেন্ড স্যামুয়েল সুনীল মানখিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন রাজশাহীর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক, চার্চ অব বাংলাদেশের অন্তর্গত কুষ্টিয়ার বিশপ রাইট রেভারেন্ড হেমেন হালদার, রাজশাহী ক্যাথলিক ডায়োসিসের বিশপ রাইট রেভারেন্ড জেভার্স। এ সময় খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালের চীফ এক্সজিকিউটিভ অফিসার মিঃ প্রদীপ চাঁদ মন্ডল, হাসপাতাল বোর্ড অব ট্রাষ্টিজের সদস্যবৃন্দ, চার্চ অব বাংলাদেশের প্যারিশ পুরোহিত ও প্রতিষ্ঠান প্রধানগণ, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে করোনা অতি মহামারীর সময়কালে খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতাল নিয়মিত সেবাসমূহ বন্ধ ঘোষণা করে এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রনে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধানে ১৫ এপ্রিল থেকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট ৫ মাস কোভিড-১৯ কার্যক্রম চালু রাখে। এ সময় রাজশাহীতে খ্রীষ্টিয়ান মিশন হাসপাতালের পরিচয় ছিলো ডেডিকেটেড করোনা হাসপাতাল হিসেবে।