‘পুলিশ সদস্যরা মাদকসেবন ও ব্যবসায় জড়ালে কঠোর ব্যবস্থা’


পুলিশ সদস্যরা মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে গেলে কিংবা মাদকসেবন করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ সদর দফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি-মিডিয়া) মো. সোহেল রানা।

সোমবার (২৩ নভেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন। ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মাদকাসক্ত ১০ পুলিশ সদস্য চাকরিচ্যুত হওয়ার এক দিন পর এমন বার্তা দিলেন সোহেল।

মাদকসেবনের পাশাপাশি মাদক বিক্রি, মাদক দিয়ে নিরপরাধ ব্যক্তিদের ফাঁসানো, উদ্ধার করা মাদক জব্দ তালিকায় কম দেখানোর মতো অভিযোগেরও প্রমাণ মিলেছে ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে।

ভিডিও বার্তায় সোহেল বলেন, ‘পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদের নেতৃত্ব ও নির্দেশনায় পুলিশ সদর দফতর পাঁচটি মূল লক্ষ্য নির্ধারণ করে পুলিশকে জনবান্ধব করতে ও সেবার মান বাড়াতে কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘এই পাঁচটি মূল লক্ষ্যের অন্যতম একটি হচ্ছে মাদকের বিরুদ্ধে শূন্য সহিষ্ণুতা। পুলিশের কোনও সদস্য যদি মাদক ব্যবসার সঙ্গে কোনোভাবে জড়িয়ে যান বা মাদক ব্যবসায় কাউকে সহযোগিতা করেন এবং নিজেরা যদি কখনও মাদক গ্রহণ করেন, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশনায় মাঠ পর্যায়ের ইউনিটগুলো এরই মধ্যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা শুরু করেছে। পুলিশের যেসব সদস্য মাদক গ্রহণ করে থাকতে পারেন বা করেছেন, এমন সন্দেহ হলে তাদেরকে ডোপ টেস্ট করছি এবং প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’

এদিকে, এ পর্যন্ত পুলিশের ৬৮ জনের মাদক নেয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৭ জন উপ পরিদর্শক (এসআই), একজন সার্জেন্ট, ৫ জন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) ৫ জন নায়েক এবং ৫০ জন কনস্টেবল।

তাদের মধ্যে ৪৩ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের বিভাগীয় মামলা করা হয় এবং ১৮ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মামলা নিষ্পত্তি শেষে ওই ১৮ জনের মধ্যে ১০ জনকেই চাকরিচ্যুত করা হয়।